Monday, September 29, 2025
spot_img
HomeScrollবদলাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম! চাপে পড়ছে মোদি সরকার
Narendra Modi Government

বদলাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম! চাপে পড়ছে মোদি সরকার

যেসব বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে ৩ বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদি, সেসব এখন কার্যত অচল

ওয়েব ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) টানা তৃতীয়বার ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরলেও জনতার রায়ে এবার ভিন্ন সুরে ধরা দিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থাকলেও গত এক বছরে বিজেপির (BJP) জনপ্রিয়তায় চোখে পড়ছে ভাটা। আগের থেকে অনেকাংশে বদলে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম (Social Media Algorithm), ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে বিরোধীরা, সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলের জন্য পরিস্থিতি দিন দিন হয়ে উঠছে কঠিন থেকে কঠিনতর।

যে সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে বিজেপি এক সময় নির্বাচনি রাজনীতিতে দাপট দেখাত, সেই সোশ্যাল মিডিয়ার রূপ এখন বদলে গিয়েছে। ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ ফরোয়ার্ড ম্যাসেজের বদলে তরুণ প্রজন্ম এখন ঝুঁকছে ইউটিউব শর্টস ও সঠিক তথ্যভিত্তিক কনটেন্টের দিকে। নতুন অ্যালগরিদমে সেই ধরণের কনটেন্টই ছড়াচ্ছে বেশি, যেখানে বিজেপি পিছিয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: RJD থেকে বহিষ্কৃত, ভোটমুখী বিহারে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন তেজ প্রতাপ!

এদিকে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি—সব বিরোধী দল সোশ্যাল মিডিয়াকে নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে। মিম, রিলস ও আঞ্চলিক প্রভাবশালীদের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিকল্প বার্তা। রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ এক্ষেত্রে এক মাইলস্টোন, যা প্রমাণ করেছে— তৃণমূল স্তরের আন্দোলনও ডিজিটাল মাধ্যমে ভাইরাল হতে পারে।

অন্যদিকে চকচকে বিজ্ঞাপন, এআই গ্রাফিক্স বা ড্রোন শটে তৈরি ভিডিওতে বাস্তবতার ঘাটতি থেকে গিয়েছে। গ্রামে-শহরে মানুষ বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈষম্যের কষ্ট নিয়ে ভিডিও তুলছে মোবাইলে, আর সেই কাঁচা ভিডিওই বেশি প্রভাব ফেলছে আজকাল। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (CMIE)-র তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জুনে বেকারত্ব বেড়ে ৯.২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে আবার ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর—এসব সংস্থাকে রাজনৈতিক চাপে ব্যবহার করার অভিযোগ নতুন নয়। গত দশকে ৯৩টি মামলা হলেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মাত্র দু’জন।

আজকের তরুণ ভোটাররা আবার ধর্মীয় বা জাতীয়তাবাদী স্লোগান নয়, চায় চাকরি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা। লোকনীতির ২০২৪ সালের তথ্যে দেখা গিয়েছে, ২৭ শতাংশ ভোটার বেকারত্ব নিয়ে চিন্তিত, ২৩ শতাংশ বলছে মুদ্রাস্ফীতির বড় সমস্যা। এ কারণেই রাম মন্দির উদ্বোধনের মতো প্রচার ইস্যুতে সাড়া মেলেনি, বরং অযোধ্যার ফৈজাবাদ আসন হারিয়েছে বিজেপি।

এই অবস্থায় সকলের নজর এখন বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। এই ভোট হবে বিজেপির জন্য লিটমাস টেস্ট। যদি এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়, তা সরাসরি কেন্দ্রীয় জোট সরকারের স্থিতিশীলতাকে নাড়িয়ে দিতে পারে।

দেখুন আরও খবর:

Read More

Latest News