ওয়েব ডেস্ক: ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক (US Trade) আরোপ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এর সঙ্গে সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য। এই শুক্ল বৃদ্ধির জেরে ভারতের যা যা ক্ষতি হচ্ছে, তা রাশিয়া পুষিয়ে দেবে বলে ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। বেশ কিছু পণ্য ভারত থেকে আরও বেশি করে কেনার কথা ভাবছে মস্কো। ভারত ও চিনের উপর চাপ দেওয়ার যে চেষ্টা আমেরিকা করছে তার তীব্র সমালোচনা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প প্রশাসনকে সতর্ক করে দেন, এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এই সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনের দিকে ব্যাকফায়ার হয়ে ফিরবে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সোচি শহরে আন্তর্জাতিক ভাল্দাই ডিস্কাশন ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন পুতিন। সেখান থেকেই ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন ডিসেম্বরের শুরুতে তিনি নিজে ভারতে আসতে পারেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনও দিন দ্বন্দ্ব ছিল না। ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘‘ভারতে সকলে জানে, আমরা কী করেছি। ওরা মনে রেখেছে। ওরা এর গুরুত্বও দিয়েছে। পুতিন মোদিকে বন্ধু বলে উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারতের যা ক্ষতি হচ্ছে, তা আমাদের খনিজ তেল আমদানির মাধ্যমে পুষিয়ে যাবে। ভারত থেকে বেশি করে ওষুধ এবং কৃষিজাত পণ্য কেনার কথা ভাবছে রাশিয়া। পুতিন বলেন, ‘‘ভারত থেকে আরও কৃষিজাত পণ্য কেনা যেতে পারে। ওষধি পণ্যের জন্যেও আমাদের দিক থেকে কিছু পদক্ষেপ করা হতে পারে।’’
আরও পড়ুন: নোবেল নিয়ে ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল অভিমানের সুর
রাশিয়াকে চাপে রাখতে ভারতের উপর শুল্ক বসিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন ভারতীয় পণ্যের উপর গুনতে হচ্ছে ৫০ শতাংশ। যার জেরে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের শিল্প। যখন ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে তখন বন্ধু রাশিয়াকে পাশে পেয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলির উপর বেশি শুল্ক চাপালে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাবে এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার বেশি রাখতে বাধ্য করবে, যার ফলে আমেরিকান অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ধীর গতির হয়ে যাবে।’ ভারত এই অপমান সহ্য করবে না। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প সরকারকে এমনই বার্তা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অন্য খবর দেখুন