ওয়েব ডেস্ক: গরমকাল ও বর্ষাকাল, এই দুই ঋতুতেই ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। একদিকে অত্যাধিক গরমে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বের হওয়ায় শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। অন্যদিকে, বর্ষার আর্দ্রতায় ঘামের মধ্যে দিয়ে শরীরের জল বেরিয়ে গিয়ে ডি-হাইড্রেশন হয়। সেইকারণে, এই দুই ঋতুতে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অনেকসময় পরিমাণ মত জল খেলেও ডি-হাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে মেনে চলা উচিৎ বেশকিছু নিয়ম।
ডি-হাইড্রেশন হলে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, মুখ ও ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার মত একাধিক সমস্যা দেখা যায়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় বমি বমি ভাব ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে পারে। আপনি হয়ত ভাববেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরও কেন ডি হাইড্রেশন? চিকিৎসকরা বলছেন, শুধুমাত্র জল পান করলেই শরীরের হাইড্রেশন বজায় থাকবে তা ভাবার কোনও কারণ নেই। শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখার জন্য শুধু জলই যথেষ্ঠ নয়। জলের সঙ্গে লেবু বা পুদিনা মিশিয়ে খেলে তা শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখে। এতে শরীরে জলের ধারণক্ষমতা বাড়ে। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ক্লোরাইডের মত ইলেকট্রোলাইটগুলো কোষের ভিতরে এবং বাইরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে শরীরে শক্তি বাড়ে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্বাদেও আনুন বদল, তেরঙা ভাতে সাজিয়ে তুলুন খুদের থালা
চিকিৎসকরা বলেন, শুধুমাত্র জল পান করলেই এই ধরণের কোনও সমস্যা দেখা দেবে না তা নয়। আপনি কীভাবে সারাদিন জলপান করছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। জলের পরিবর্তে আপনি ডাবের জলও খেতে পারেন। একইসঙ্গে ফলের রস, ফল ও সবজি প্রভৃতি শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। তাই, শুধুমাত্র জল খেলেই যে হাইড্রেশন বজায় থাকবে, এমনটা মোটেও নয়। শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকলে আর ডিহাইড্রেশনের ভয় থাকে না।
দেখুন খবর: