ওয়েব ডেস্ক: নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেয়েই ফের শুল্কবাণ ছুঁড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এবার নিশানায় চীন (China)। আর এই নিশানা আরও নিঁখুত ও ভয়ঙ্কর। শুক্রবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক (Tariff) আরোপ করা হবে। বর্তমানে কার্যকর শুল্কের উপরে এই নতুন শুল্ক বসবে। ফলে চীনা পণ্যের উপর আমেরিকার (USA) চাপানো শুল্কের হার পৌঁছবে প্রায় ১৪০ শতাংশে।
এখানেই শেষ হয়নি মার্কিন হুমকি। হোয়াইট হাউস হুঁশিয়ারির সুরে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে এই সিদ্ধান্ত অক্টোবর মাস থেকেই কার্যকর করা হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য, যদি বেজিং কোনও ‘আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নেয়, তাহলে মার্কিন প্রশাসন শুল্ক আরোপের তারিখ এগিয়ে আনতে বাধ্য হবে। কিন্তু আচমকা চীনের প্রতি এতটা চরমভাবাপন্ন সিদ্ধান্ত কেন নিল ট্রাম্পের সরকার?
আরও পড়ুন: এই ৪ কারণেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প!
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ চীনের বিরল খনিজ রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হতে পারে। কারণ ট্রাম্প দাবি করেছেন, চীনের ওই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারত এবং বহু দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি আঘাত হানত। তাঁর কথায়, “চীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাদাগিরি করছে। সেই প্রভাব খর্ব করাই আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত অগাস্টে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ৯০ দিনের আগে কোনও নতুন শুল্ক আরোপ করবেন না। তিনি জানিয়েছিলেন, ১০ নভেম্বর রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট পর্যন্ত নতুন শুল্ক কার্যকর করা হবে না। কিন্তু নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হওয়ার মাত্র একদিন পরই সেই সিদ্ধান্তে নাটকীয় পরিবর্তন আনলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশ্বরাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, নোবেল বিতর্কের মাঝেই ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণা কেবল অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নয়, বরং একধরনের রাজনৈতিক বার্তাও।
দেখুন আরও খবর: