নদীয়া: একসময় বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি মেলেনি, কোথাও শুকনো লঙ্কার গোডাউনে, কোথাও বা গাছতলায় চলত বিকল্প ব্যবস্থা (District News)। সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুরু হয়েছিল যে পথচলা, আজ তা সারা রাজ্য জুড়ে ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে ‘বৃত্তি পরীক্ষা’ (Scholarship exams begin across the West Bengal)।
রাজ্যে প্রাথমিক স্তরে পাশ–ফেল তুলে দেওয়া এবং চতুর্থ শ্রেণির শেষ পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর ১৯৯২ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ প্রতিবছর এই পরীক্ষার আয়োজন করে আসছে। উদ্দেশ্য একটাই — ছাত্রছাত্রীদের মেধা মূল্যায়নের মাধ্যমে পড়াশোনায় উৎসাহ ফিরিয়ে আনা।
আরও পড়ুন: জাতীয় ডাক দিবসে অভিনব উদ্যোগ শান্তিপুরে, খুদেদের চিঠি লেখার পাঠ
৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের বৃত্তি পরীক্ষা, যা চলবে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত। বাংলা, অঙ্ক, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও ইংরেজি — মোট পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে বিজ্ঞান ও ইংরেজি ৫০ নম্বর এবং বাকি তিনটি বিষয় ১০০ নম্বর করে। মোট পূর্ণমান ৪০০। পরীক্ষার সময় সকাল ৭:১৫ থেকে ৯:৪৫ পর্যন্ত। রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছে এই পরীক্ষায়।
নদীয়া দক্ষিণ জেলায় ৪৩টি সেন্টারে এবছর ৩৭৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শান্তিপুর এম.এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের সুধারানী বঙ্গ ভবনে একমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে ২৫৪ জন ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এক অভিভাবকের বক্তব্য, “মাঝেমধ্যে মূল্যায়ন হলে তবেই বোঝা যায় কোন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বা অনীহা তৈরি হচ্ছে। এই পরীক্ষা সেই সুযোগই দেয়।”
পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে রাজ্যস্তরে ১,২০০ টাকা এবং জেলাস্তরে ৬০০ টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়। এই অর্থ শিক্ষাদরদী মানুষের অনুদানে গঠিত তহবিল থেকে দেওয়া হয়, ফলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংখ্যা প্রতি বছর নির্দিষ্ট নয়। পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, “সরকারি সহযোগিতা সীমিত হলেও, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগেই এই বিশাল আয়োজন সম্ভব হচ্ছে।”
দেখুন আরও খবর:
e>







