ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুরের গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Physical Assault) পুনর্নির্মাণ পুলিশের। মঙ্গলবার অপরাধের ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সঙ্গে ছিল অভিযুক্তরা। অপরাধ পুনর্গঠনের জন্য সেখানে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শফিক শেখের বোন রোজিনা শেখকে সোমবার দুর্গাপুরের আণ্ডাল ব্রিজের নীচে তাকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছিলেন। অন্য দিকে, মঙ্গলবারই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘নির্যাতিতা’ তরুণী।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের রাতভর জেরা করেছে পুলিশ। ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে এক জন জেরায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে পুলিশ এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। আইন অনুযায়ী, ধর্ষক যে-ই হোক, ঘটনাস্থলে একাধিক জন উপস্থিত থাকলে গণধর্ষণের মামলাই রুজু হয়ে থাকে। সূত্রের খবর, ডিসিপি অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে বড় টিম দুর্গাপুরের মেডিক্যাল কলেজে পিছনের জঙ্গলে রয়েছে। হাসপাতালের বেরনোর রাস্তা থেকে যে রাস্তা ধরে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠী গিয়েছিলেন, সেই রাস্তাও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। তারপরই নিয়ে আসা হয় নির্যাতিতার সহপাঠীকেও।
আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়ায় নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বিকাশ ভবনের, কী কী নির্দেশিকা জারি?
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ওই দু’জনের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায়। এর পরে পুলিশ তাদের বাড়ি থেকে পোশাকগুলি উদ্ধার করে। অভিযুক্তদের বয়ানের সঙ্গে সহপাঠীর বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। দু’জনকে দিয়ে আলাদা আলাদা করে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সহপাঠীকে প্লেস অফ অকারেন্স খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের পোশাকগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। রিপোর্টে চিকিৎসকরা উল্লেখ করেছেন, যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। যৌনাঙ্গের ভিতরের চামড়া ছিড়ে গিয়েছে। প্রবল রক্তপাতও হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন