নদিয়া: বৃন্দাবনের শ্যামকুণ্ড ও রাধাকুণ্ডের যোগসাদৃশ হয়েছিল আজকেরই দিনে বহুলা অষ্টমী (Ashami) তিথিতে। সেই পবিত্র মুহূর্তের স্মরণে প্রতিবছর ভক্তরা আহ্বান জানান সমস্ত নদীদেবীকে এবং করেন বিশেষ আরতি। নদীমাতৃক ভারতবর্ষে (India) নদী বন্দনার এই ঐতিহ্য বহু প্রাচীন আধ্যাত্মিক চেতনার গভীরে তার শিকড়। দামোদর মাসসহ সারা বছর ধরেই ভক্তরা গঙ্গার আরতি করে থাকেন, তবে বহুলা অষ্টমীর তাৎপর্য অনন্য (District news)।
গতকাল রাত ১২টা ৮ মিনিটে শুভক্ষণ পড়তেই শুরু হয় পুণ্যস্নান ও গঙ্গাপুজো। রাত পেরিয়ে প্রভাত পর্যন্ত নদীয়ার নবদ্বীপ, ফুলিয়া, শান্তিপুর, চাকদহ, রানাঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ভক্তদের ঢল নামে। হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান বিভিন্ন গঙ্গাঘাটে।
আরও পড়ুন: নদিয়ায় দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার অঙ্গিকার
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে নানা আয়োজন করা হয়। নদীয়া জেলা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম (QRT) এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দল প্রস্তুত ছিল যেকোনো পরিস্থিতির জন্য। ঘাটে ভক্তদের সতর্ক ও সাবধান থেকে স্নান করার বার্তা দেওয়া হয়।
শান্তিপুর বড়বাজার ঘাট, নবদ্বীপ ঘাটসহ একাধিক স্থানে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা সজাগ ছিলেন যাতে কোনও অঘটন না ঘটে। গোস্বামী প্রধান ও ভক্তবৃন্দ শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ি থেকে ঘাটে এসে গঙ্গাপুজো, আরতি ও বিভিন্ন রীতি-নীতি পালন করেন। ভক্তদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে সারারাত গঙ্গাপুজো ও স্নানের অনুষ্ঠান চলতে থাকে। আজ সকাল পর্যন্তও বহু মানুষকে গঙ্গায় পুণ্যস্নান করতে দেখা গিয়েছে। গঙ্গার আরতি ও “হরিবোল” ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে সমগ্র অঞ্চল।
দেখুন আরও খবর: