শান্তিপুর: শান্তিপুরে (Shantipur) শুরু হয়েছে আগমেশ্বরী মায়ের পুজোর প্রস্তুতি। দীপান্বিতা অমাবস্যার (Dipanwita Aamabasya) রাত্রে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রাচীন দক্ষিণা কালীপুজো (Kalipuja 2025), যা আজও প্রায় চার শতাব্দীর ঐতিহ্য বহন করে চলেছে (District News)।
শান্তিপুর শাক্ত ও বৈষ্ণব ধর্মের মিলনক্ষেত্র। এখানেই বৈষ্ণব চূড়ামণি শ্রীমৎ অদ্বৈতাচার্যের নাতি মথুরেশ গোস্বামীর আমন্ত্রণে নবদ্বীপ থেকে আগমন করেন তন্ত্রসাধক রত্নগর্ভ সার্বভৌম আগমবাগীশ। তন্ত্রশাস্ত্রের পণ্ডিত, ‘তন্ত্রসার’-এর সংকলনকারী কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের বংশধর তিনি। শান্তিপুরে এসে নিজের আরাধ্যা দেবী মহাকালীর প্রতিষ্ঠা করেন, যিনি পরবর্তীতে ‘আগমেশ্বরী মাতা’ নামে খ্যাত হন। এই দেবীকে বাংলার আদি দক্ষিণা কালী রূপে মানা হয়। আজ ভারতে যত শ্যামাপূজা হয়, তার অধিকাংশই আগমেশ্বরী মাতার আদলে। বিশালাকায় প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার প্রতিমা ভক্তদের ভক্তি ও শ্রদ্ধার কেন্দ্রবিন্দু।
আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে প্রসূতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য, চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগে থানা ঘেরাও
প্রতি বছর দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে হাজার হাজার ভক্ত মাতার পূজায় অংশ নিতে শান্তিপুরে ভিড় জমান। স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্ত থেকেও মানুষ আসেন এই পূজা দেখতে। কেবল এই বিশেষ তিথিতেই নয়, প্রতি অমাবস্যাতেই হয় মাতার চরণপীঠ পূজা।
আগমেশ্বরী মায়ের পুজো শুধু এক ধর্মীয় আচার নয়, এটি শান্তিপুরের সংস্কৃতি, ঐক্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এখানকার মানুষের কাছে মা আগমেশ্বরী কেবল দেবী নন, তিনি তাঁদের রক্ষাকর্ত্রী, শান্তির প্রতিমূর্তি এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অবিচ্ছেদ্য ভক্তির কেন্দ্র।
দেখুন আরও খবর: