কলকাতা: রাজ্যে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের সংখ্যা আরও বাড়ছে। শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission-SSC) একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল। ফল প্রকাশের পর প্রচুর প্রার্থী একসঙ্গে ওয়েবসাইটে লগইন করায় সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়। তবে শনিবারই প্রার্থীদের সুবিধার্থে নতুন একটি ওয়েবসাইট চালু করে কমিশন, যাতে সকলেই নিজেদের ফল জানতে পারেন।
বর্তমানে একাদশ-দ্বাদশে ১২,৫১৪টি শূন্যপদ রয়েছে। তবে এসএসসি সূত্রে খবর, শূন্যপদ আরও ৭০০ থেকে ৮০০টি পর্যন্ত বাড়তে পারে। ঠিক কত পদ বাড়বে, তা জানা যাবে বুধবার বা বৃহস্পতিবার নাগাদ। বিকাশ ভবন থেকে চূড়ান্ত হিসেব পাওয়া গেলে তার ভিত্তিতে ইন্টারভিউ তালিকা তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: ফের অগ্নিকাণ্ড কলকাতায়! কালো ধোঁয়ায় ঢাকল প্রিন্সেস স্ট্রিট
এসএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০টি শূন্যপদের জন্য ১৬০ জন প্রার্থীকে অর্থাৎ ১:৬ অনুপাতে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে। ইন্টারভিউ তালিকা প্রস্তুত করা হবে লিখিত পরীক্ষার নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা (১০ নম্বর) এবং কাজের অভিজ্ঞতা (১০ নম্বর) যোগ করে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। যাঁরা সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন, তাঁদেরই ডাকা হবে নথি যাচাই ও ইন্টারভিউয়ের জন্য।
এদিকে, ফল প্রকাশের দিনই লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র আপলোড করেছে এসএসসি। মাত্র কয়েকটি বিষয়ে চারটি ভুল প্রশ্ন ধরা পড়েছে, যার জন্য পরীক্ষার্থীদের পূর্ণ নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে কারা ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পাবেন তা নিয়ে। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নম্বরই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে, মামলার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। কলকাতা হাই কোর্টে শুনানি চলছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই সময়সীমা ঘনিয়ে আসায়, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখন যথেষ্ট উদ্বেগে— কারণ, ৩১ ডিসেম্বরের পর তাঁরা ‘শিক্ষক’ পদবি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন।
দেখুন আরও খবর:






