ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জুড়ে অনির্দিষ্টকালের টোটো ধর্মঘট। নিয়মবহির্ভূত বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগে পথে নামলেন টোটো চালকরা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আলটিমেটাম সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি টোটো বন্ধে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে আজ থেকে শুরু হল অনির্দিষ্টকালের টোটো ধর্মঘট। সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের রাস্তায় মিছিল করে প্রতিবাদ জানাল টোটো চালকরা। তাদের দাবি—আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। সম্প্রতি রাজ্য পরিবহন দপ্তর জানায়, রাস্তায় টোটো চালাতে হলে রেজিস্ট্রেশন এবং চালকের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফি ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ঝাড়গ্রামের টোটো চালকদের অভিযোগ—জেলা আরটিও-র দপ্তর নিয়মবহির্ভূতভাবে একাধিক কাগজপত্রের নাম করে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে, যা তাদের পক্ষে এককালীন পরিশোধ করা অসম্ভব।
আরও পড়ুন: ঠাকুরনগরের অনশন মঞ্চে অসুস্থ সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর
পুরোনো টোটোর রেজিস্ট্রেশন করাতেও তৈরি হয়েছে জটিলতা। সরকারি অনুমোদিত বহু টোটো কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজ মিলছে না, ফলে অতিরিক্ত খরচের বোঝা বাড়ছে। তবুও রেজিস্ট্রেশন হবে কি না—সেই নিশ্চয়তাও নেই বলে অভিযোগ। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি চালকদের।
এই বেনিয়ম ও বাড়তি অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে টোটো মালিক–চালকরা আজ থেকে টোটো পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন। টোটো বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বয়স্ক যাত্রীদের কাছে ট্রেন, বাস বা বাজার থেকে ভারী ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফেরা এখন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে টোটো চালক—সকলেই চান দ্রুত সমাধান হোক, আবার রাস্তায় নামুক টোটো পরিষেবা।
দেখুন খবর:







