কলকাতা: আগামী ৯ ডিসেম্বর রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা (Voter Draft list Released) প্রকাশিত হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে এই খসড়া তালিকা দেখতে পারবেন ভোটাররা। মৃত ভোটার, স্থানান্তরিত ভোটার, অনুপস্থিত ভোটার এবং ডুপ্লিকেট ভোটার। তার আগে ২৫ নভেম্বর অ্যাপে ফর্ম আপলোডের কাজ শেষ করতে হবে বিএলও-দের। ৪ ডিসেম্বর ফর্ম ডিজিটাইজেশনের শেষ দিন।
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যাঁরা ফর্ম জমা দিয়েছেন, সবার নামই থাকবে খসড়া তালিকায়। কমিশনের ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট বুথে তালিকা বেরোবে। মৃত বা ভুয়ো বা অন্য কারণে বাদ পড়াদের তালিকা আলাদাভাবে প্রকাশ করা হবে। SIR-এর লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা আপডেট করা। ৮০,০০০-এর বেশি বুথ লেভেল আধিকারিক (BLO) ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য যাচাই ও আপডেট করছেন। ভোটারদের সাহায্য করার জন্য রাজ্য জুড়ে ৬৫৯টি হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: SIR-এর জন্য আর কত প্রাণ হারাতে হবে? BLO-র আত্মহত্যায় গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে ফর্ম ফিল আপ করেছেন বিএলওরা। সেক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, মৃত ভোটারদেরও নামে ফর্ম ফিলআপ হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তথ্য জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। মৃত ভোটারদের জন্য আলাদা তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল, কিন্তু বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিতে গিয়ে যখন বিএলও-রা দেখতে পাবেন, সেই ব্যক্তি মৃত, সেটা মার্ক করে ডিলিট করা যাবে। ২০২৫-এর তালিকায় নাম রয়েছে, অথচ নির্দিষ্ট ঠিকানায় বাড়ি গিয়ে তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেল না, তাঁদের নাম বাদ যাবে। যাঁদের একই কেন্দ্রে বা আলাদা কেন্দ্রে নাম রয়েছে ভোটারের, সেই নাম বাদ যাবে। দুটো এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, সেটা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। ৯ ডিসেম্বরের পর ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ শুরু করবে কমিশন। ম্যাপিংয়ের কাজ চলবে। ম্যাপিংয়ে না ম্যাচ করলে সে সময়ে হিয়ারিংয়ের নোটিস যাবে, নোটিস পৌঁছে দেবেন বিএলও-রা। ২০০২ সালের তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁরা যে তথ্য জমা দিচ্ছেন, ইআরও-এর মনে হলে তাঁদের ডেকে পাঠাতেই পারে।
দেখুন ভিডিও







