শান্তিনিকেতন: ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শতাব্দি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষমেলা (Shantiniketan Poush Mela 2025)। চলতি বছরে মেলা ৬ দিনের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। দফায় দফায় মাঠ পরিদর্শন করছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বেশ কয়েক বছর পর বড় করে পৌষমেলা হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই আশায় বুক বেঁধেছেন ব্যবসায়ীরা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে অন্যতম বড় উৎসব শান্তিনিকেতন পৌষমেলা। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেলায় ভিড় জমায় দেশী-বিদেশি বহু পর্যটক। শান্তিনিকেতন ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হাতে আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভুবনডাঙ্গার পূর্বপল্লীর মাঠে শান্তিনিকেতন পৌষমেলা। পৌষমেলার প্রস্তুতি পর্যায়ে বিশ্বভারতীন (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদ দফায় দফায় বৈঠক করছেন। পূর্বপল্লীর পৌষমেলার মাঠ পরিদর্শন করছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে মাঠ পরিষ্কারের কাজ।
আরও পড়ুন: নবদ্বীপে উদ্ধার শতাধিক ভোটার কার্ড, শুরু রাজনৈতিক তরজা
শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়েছে, এ বছর শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ছয় দিনের। পরিবেশবান্ধব মেলা হবে। তার চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রস্তুতি চলছে। মাঠ পরিদর্শন চলছে। এবারে মেলা খুব সুন্দর হবে। বোলপুর শান্তিনিকেতন রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটন ব্যবস্থার সাথে যুক্ত বহু মানুষ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে থাকে পৌষ মেলার দিকে। এবছর শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বড় আকারে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দুটো পয়সা মুখ দেখার আশায় বুক বেঁধেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত বিশ্বভারতী সূত্রে জানা যায় ২০১৬ ও ২০১৮ সালে বোলপুর শান্তিনিকেতনের এই পৌষমেলায় দূষণ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে দুটি মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। সেই মামলার রায়ে আতশবাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে পৌষমেলায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছিল আদালত। তাই এই বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতীয় পরিবেশ আদালতের যাবতীয় ছাড়পত্র নিয়ে, বিধিনিষেধ মেনেই পৌষমালার আয়োজন করা হবে৷
অন্য খবর দেখুন







