আলিপুরদুয়ার: ফেলুদা সিনেমা আমরা প্রায় সবাই দেখেছি ” ‘যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে’ ঠিক তেমনি ফেলুদা সিনেমা নামের মত যত কাণ্ড হ্যামিলটনগঞ্জে (Hamiltonganj)।
এসআইআর (SIR) আবেদন পত্র ফিলাপ হওয়ার পর একের এক অভিযোগ উঠে আসছে হ্যামিলটন গঞ্জ থেকে তাই বলাই যায় ‘যত কাণ্ড হ্যামিলটন গঞ্জে’।
যত গন্ডগোল যেন আলিপুরদুয়ার (Alipurdua) জেলার হ্যামিল্টনগঞ্জেই, এবার এক বাংলাদেশ থেকে আগত ব্যক্তি তার প্রতিবেশীর বাবা ও মাকে নিজের বাবা ও মা বানিয়ে সব নথী বানিয়েছে এই অভিযোগ উঠে আসল। হ্যামিল্টনগঞ্জের বিবেকনগর এলাকার বাসিন্দা আশুতোষ সাহা তার অভিযোগ তার বাবার ও মায়ের নাম ব্যবহার করে সব জরুরি নথি ও এসআইআরের ফর্ম ফিলাপ করেছে ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা চন্দন সাহা। এই বিষয়ে আশুতোষ সাহার অভিযোগ।
আশুতোষ সাহা জানান, আমার বাবার নাম সত্যরঞ্জন সাহা এবং মায়ের নাম তারারানী সাহা। সম্প্রতি এসআইআরের ফর্ম ফিলাপের সময় দেখতে পাই আমরাই পাড়ার এক বাসিন্দা চন্দন সাহা আমার বাবা ও মায়ের নাম ব্যবহার করে এসআইআরের ফর্ম ফিলাপ করেছে।
আশুতোষের অভিযোগ, এসআইআরের ফর্ম ফিলাপ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, তারা আমার বাবা ও মায়ের নাম ব্যবহার করে জাল নথিও বানিয়েছে। তার আরও অভিযোগ, ওই ব্যক্তি চন্দন সাহা এই এলাকার বাসিন্দা নন, আট বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তিনি এবং তিনি এই জাল নথি তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন- কৃষ্ণগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর পথশ্রী প্রকল্পের আট রাস্তার ভার্চুয়াল উদ্বোধন
যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত চন্দন সাহা বলেন, “আমার বাবার নাম সত্যরঞ্জন সাহা। তবে মায়ের নাম চম্পা সাহা।”
তার দাবি, এসআইআরের ফর্মফিলাপের সময় তার মেয়েরা ভুল করে চন্দন সাহার মায়ের নাম তারারানী সাহা লিখে ফেলেছেন।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি আট বছর নয় প্রায় ৪০ বছর আগেই আমার মাসির সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছিলাম। তারপরেই বেশিভাগ সময়েই কাজের সূত্রে বাইরে থাকায় ২০০৭ সালে প্ৰথম ভোটার তালিকায় নাম ওঠে আমার এবং এলাকারই এক ব্যক্তির সাহায্যে আমি সব জরুরি নথি তৈরি করি।”
অপরদিকে, এ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বরাও।তৃণমূলের লতাবাড়ি অঞ্চল সভাপতি পরিমল সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশিদের নিয়ে এত প্রশ্ন, অভিযোগ বিজেপির, অথচ বিজেপির নেতৃত্বরাই তাদের আশ্রয় দিচ্ছেন।
যদিও, এ বিষয়ে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপি জেলা সম্পাদক অলোক মিত্র বলেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্বরাই ভুল বুঝিয়ে এই অভিযোগ করাচ্ছেন। ওই ব্যক্তির বিভিন্ন নথির তৈরির পেছনে তাদেরই দলের লোকেরা রয়েছে।
দেখুন আরও খবর-







