ওয়েবডেস্ক- বিহারে (Bihar) SIR এর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বরে। বিহারে প্রথম পর্যায়ের এসআইআর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার ভোটমুখী অন্যান্য রাজ্যগুলির পালা। অন্য রাজ্যে এসআইআর (SIR) কবে? সোমবার বিকেলের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তা স্পষ্ট করল কমিশন (Election Commission) । বিহারে SIR এর পরে ধাপে ধাপে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে এই প্রক্রিয়া হবে ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই মতো আজ, সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে কমিশন জানাল পশ্চিমবঙ্গ সহ ১০ থেকে ১৫টি রাজ্যে প্রথম পর্যায়ে এসআরআর ঘোষণা করা হবে। ধাপে ধাপে গোটা দেশে সেই প্রক্রিয়া চলবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসআইআর শেষ করার লক্ষ্য মাত্রা রাখা হয়েছে। নয়া দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Chief Election Commissioner Gyanesh Kumar)।
জ্ঞানেশ কুমার বলেন, প্রথম পর্যায়ে এসআইআর প্রক্রিয়া সফল হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ রাজ্যে এসআইআর হবে। বিহারে এসআইআর নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। বিহারে সাড়ে ৭ কোটি ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। মূলত চার কারণে এসআইআর হবে। মৃত ভোটার, বিদেশিদের নাম তালিকা বাদ দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য। নির্বাচনমুখী রাজ্যগুলিতে আজ রাত ১২টাতেই ভোটার তালিকা ফ্রিজ। বাংলা, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাত, কেরল, পুদুচেরি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ুতে এসআইআর হবে।
জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করেছেন, প্রয়োজনে তিনবার ভোটারের বাড়ি যাবে বিএলও (BLO)। অনলাইনেও আবেদন করা যাবে। প্রত্যেক ভোটারকে ইউনিমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে। শহরে ভোটাররাও অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে পারবে। ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রয়োজনেই এই এসআইআর করা হচ্ছে। যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যাবে না, দাবি নির্বাচন কমিশনারের। কাল থেকে বিএলও কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু।
আরও পড়ুন- ‘রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?’ আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য
২০০২ ভোটার তালিকায় নাম থাকলে দিতে হবে না নথি। বাবা-মায়ের নাম থাকলেও দিতে হবে না নথি। যে রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে, আজ ১২ টায় ভোটার তালিকা ফ্রিজ হবে। রাত ১২টার পর নথিভুক্তকরণে কাজ শুরু। কোনও বুথে ১২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না। অভিযোগ থাকলে দুবার আবেদন করা যাবে। এসআইআর- এর লক্ষ্য যোগ্য ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করা। ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করা যাবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও আবেদন করতে পারবে।
জ্ঞানেশ কুমার জানান, ২০০২ সালে শেষ বার হয়েছিল এসআইআর। ২৩ বছর বাদে ফের এসআইআর হতে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর। সংবিধান অনুসারে ভোটার হতে গেলে ভারতের নাগরিক হতে হয়। ২০০২ সালে রাজ্যে ২৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। প্রতি হাজার ভোটার পিছু একটি করে পোলিং স্টেশন।







