ওয়েবডেস্ক- এসআইআর (SIR) ইস্যুতে আজ বনগাঁর ঠাকুরনগরে (Thakur Nagar) মতুয়া (Matua) গড়ে জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এসআইআর কারুর নাম বাদ গেলে তিনি যে ছেড়ে দেবেন না, সে কথা ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন তিনি। রাজ্যে এসআইআর ইস্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বিএলওদের (BLO) হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে বিএলওদের।
এর আগে হাতে এসআইআর বিরোধিতায় সংবিধান নিয়ে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, আজ বনগাঁ থেকে ফের রণংদেহী মূর্তিতে দেখা গেল তাঁকে। মমতা হুঙ্কার আমাকের আঘাত করলে, আমি সারা ভারতবর্ষকে নাড়িয়ে দেব। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, বাংলা দখল করতে গিয়ে গুজরাট হারাবে, দেশ হারাবে।
আরও পড়ুন- মতুয়াগড়ে মমতা পৌঁছতেই এ কী ছবি?
২০২৯ বড় ভয়ঙ্কর। ক্ষমতা হারাবে বিজেপি। দিল্লির জায়গা দখল করবে তৃণমূল। এসআইআর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মমতা দাবি, এসআইআর আতঙ্কে ৩৫-৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, ১০ জন বিএলও হাসপাতালে ভর্তি। কৃষ্ণনগরে রিঙ্কু মৃত্যুর আগে চিঠি লিখে গিয়েছেন। লিখেছে আমার মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। তাহলে কার কথায় চলছে? ইন্টারনেট নেই। আপলোড করা যাচ্ছে না, ইন্টারনেট নেই, হোয়াটসঅ্যাপ নেই, এই অবস্থায় দুমাসের মধ্যেই এসআইআর করা ঠিক হচ্ছে না। খসড়া তালিকা বের হলে দেখবেন কী হয়?
একই সঙ্গে এদিন মতুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এর বড় শাস্তি হওয়া উচিত। কমিশনের নথির তালিকায় লিখতে বলুন। ওই সার্টিফিকেটে লিখে দেওয়া হচ্ছে আপনি বাংলাদেশে ছিলেন। ম্যাপিং করছে ২০০২ সালে। সংঘের সার্টিফিকেট দিচ্ছে ২০২৫ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। মানে প্রমাণ করে দিচ্ছে, আপনি বাংলাদেশের নাগরিক। রামকৃষ্ণ মিশনও সার্টিফিকেট দেয়, সেখানে তো লেখা থাকে না আপনি কোন দেশের নাগরিক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি? কোন যুক্তিতে। দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে ভালোবাসি। কারণ আমাদের ভাষা এক। যাঁরা বাংলাদেশি তাঁরা বাংলায় কথা বলে অভ্যস্ত, কী করে হঠাৎ করে বদলাবে? আমি বীরভূমে জন্মেছি, না হলে আমাকেও বাংলাদেশি বলে দিত।
বীরভূমে জন্মেছি না হলে আমাকেও বাংলাদেশি বলে দিত। বৈধ ভোটারের কোনও ভয় নেই। ভয় পাবেন না। বিজেপি ভয় দেখিয়ে প্রচার করছে। আমি থাকতে কারও গায়ে হাত দিতে দেব না।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সবাইকে বলেন, কেউ ভয় পাবেন না। আমরা কাউকে তাড়াতে দেব না। বাংলা জোর করে দখল করতে হবে, তাই এসআইআর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই মাটি সংগ্রামের মাটি, এই মাটি কারুর রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না।
দেখুন ভিডিও-







