Wednesday, September 3, 2025
HomeScrollরবিবার মোদি-জিনপিং বৈঠক, কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে?

রবিবার মোদি-জিনপিং বৈঠক, কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে?

আমেরিকার শুল্ক চাপের পর মোদির চীন সফরে নজর গোটা বিশ্বের, চাপে মার্কিন মুলুক

ওয়েবডেস্ক- আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (US President Donald Trump) শুল্ক হুঙ্কার, সেই সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে ভারতের (India) দূরত্ব এই অবস্থার মধ্যে চীন (China) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার জাপান (Japan) সফর শেষ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর তার পর সেখান থেকেই চীনে উড়ে যাবেন যাবেন তিনি। সেইখানে ৩১ অগাস্ট তিয়ানজিনে (Tianjin)  সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) (SCO) (Shanghai Cooperation Organisation (SCO) Summit)  শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠক।

সেখানেই চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে ভারত ও চীনের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছিল। এর পর প্রায় সাত বছরের বেশি সময় পরে মোদির এই চীন সফর, যা রাজনৈতিক দিক দিয়ে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। রবিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Chinese President Xi Jinping)  সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদি। প্রায় গোটা বিশ্বই এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, বিশেষ করে আমেরিকা। চীনে ২৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আসছেন এই এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে।

গালওয়ানের পর থেকেই তলানিতে ঠেকা দুই দেশের সম্পর্ককে একটু একটু ছন্দে ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের তরফ থেকেও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ইতিমধ্যেই চীন সফর করেছেন। এর পর সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সফরে আসেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই চীন সফরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন। তিনি জানিয়েছেন, এসসিও তিয়ানজিন শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানায়। আমরা আমরা বিশ্বাস করি সকল পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় এই সম্মেলন ঐক্য, বন্ধুত্ব এবং সুনির্দিষ্ট ফলাফলের প্রতীক হয়ে উঠবে।’

২০২০ সালে গালওয়ান ও ২০১৭ সালে ডোকলাম এর ঘটনা ভারত ও চীনের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েছিল। ডোকলামে, চীন একটি সড়ক নির্মাণ করতে চেয়েছিল, যা ভুটান ও ভারতের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করত, এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে অচলাবস্থা বাড়তে থাকে। অপরদিকে গালওয়ানে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনারা চীনের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করে। এই ঘটনাগুলি রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি করতে চরম আকার নেয়। ভারতের সঙ্গে চীনের দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বিরোধের প্রতিফলন।

আরও পড়ুন-  ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করবে জাপান!

ফলে সীমান্তে সুরক্ষা নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে স্থান পাবে। অপরদিকে রয়েছে চীন ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ। চলতি বছরেই নাথুলা পাস খুলে দেওয়া হয়। ভারত ও চীন তিনটি মনোনীত পথ, লিপুলেখ (উত্তরাখণ্ড), শিপকি লা পাস (হিমাচল প্রদেশ) এবং সিকিমের নাথুলা দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগও পুনরায় চালু হয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতের রফতানি পণ্যের উপর ব্যাপক শুল্ক বাড়িয়েছেন। মার্কিন শুল্কের চাপের আবহে ফের ভারত ও চীন কাছাকাছি। চীনও বলছে, মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত। ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আমেরিকা যদি ভারত থেকে জিনিস না কেনে, তাহলে সেই জিনিস চীন কিনবে। ভারত-চীনের এই একজোট হওয়ার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না আমেরিকা। চাপ বাড়ছে মার্কিন মুলুকেও।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News