নয়াদিল্লি: ধোপে টিকল না বিরোধীদের প্রতিবাদ, টানটান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার লোকসভায় (Lok Sabha) ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill Set For Lok Sabha) পেশ হল। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৫ পেশ করছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি জানান, এই বিল নিয়ে এত বেশি মতামত ও পরামর্শ এসেছে, যা অতীতে কোনও বিলের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। প্রায় ২৮৪টি প্রতিনিধি দল এবং ২৫টি রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ড তাদের মতামত জানিয়েছে। বিল পেশের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেখানেও বিরোধী সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিরোধীদের আপত্তির সত্ত্বেও লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill Set For Lok Sabha)। বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই সংশোধনী সংখ্যালঘুদের অধিকারের পরিপন্থী। সরকার ওয়াকফ সম্পত্তির উপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মত এই সংশোধনীর বিলের মাধ্যেমে বেআইনি দখল রোধ করা সম্ভব হবে এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: লোকসভায় ওয়াকফ বিল, কাদের সমর্থন পাচ্ছে মোদি সরকার?
বিরোধীরা বিল নিয়ে ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন রিজিজু। রিজিজুর বক্তৃতার সময় বিলের বিরোধিতায় স্লোগান বিরোধী সাংসদদের। উত্তেজনার মধ্যেই রিজিজু বলেন, “এই বিলের বিরোধিতা করা হলেও এটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে নয়। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত হবে । তিনি আরও জানান, ওয়াকফ আইন প্রথম চালু হয় ১৯১৩ সালে, পরে ১৯৩০ সালে সংশোধন করা হয়। তবে এখন বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হবে, যেখানে আরও বিতর্কের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার যখন কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেয় তখনই বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে। সকলের মতামত নেওয়ার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিকে ধন্যবাদ জানালেন রিজিজু। বললেন, “আমি জেপিসির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
কেন্দ্রীয় সরকার বিলটিকে স্বচ্ছতা ও সুশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে দাবি করলেও বিরোধীরা এই বিলকে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপ বলে গদাবি করেছে। পাল্টা কিরেন রিজিজু বলেন, এই সংশোধনীতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। রিজিজু বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কোনও ধর্মীয় কাজে হস্তক্ষেপের কোনও বিধান নেই। আমরা কোনও মসজিদের কাজে হস্তক্ষেপ করব না।
দেখুন ভিডিও