
হাওড়া: বেলুড় মঠের কুমারী পুজো প্রসিদ্ধ। এবছর কুমারী পুজো ১২১ বছরে পা রাখল। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কুমারী পুজোও চালু করেন। সেই থেকে মঠে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
সোমবার মহাষ্টমীতে সকাল ৯ টায় শাস্ত্রীয় আচারবিধি মেনে বেলুড় মঠে সুসম্পন্ন হয়েছে কুমারী পুজো। এবছর পূজিতা কুমারীর নাম আরাত্রিকা রায়। জানা গিয়েছে, হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা আরাত্রিকার বয়স ৫ বছর পেরিয়েছে।
বেলুড় মঠের দুর্গাপুজোর গত ১২১ বছরে ভক্তমহলে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ প্রথমবার যখন বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর প্রচলন করেছিলেন সেইসময়ে ৯জন কুমারীকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয়েছিল। কুমারী হিসেবে ৫ বছর থেকে ৭ বছর বয়সের কোনও বালিকাকে পুজো করা হয়।
পুরাণ অনুযায়ী, দেবী দুর্গা দেবতাদের দেখা দিয়েছিলেন কুমারী রূপে। দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেছিলেন বলে কথিত আছে। বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর পাশাপাশি এবছর কুমারী পুজো সুসম্পন্ন হয়েছে জয়রামবাটি-কামারপুকুর এবং জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে। করোনা পরিস্থিতিতে গত দু’বছর জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো বন্ধ ছিল। এবছর ফের তা চালু হয়েছে। অন্যদিকে, এবছর কুমারী পুজো সুসম্পন্ন হয়েছে তারাপীঠেও।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: অসুর রূপে গান্ধী, বিতর্কে দক্ষিণ কলকাতার রুবি পার্ক
স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে কুমারী প্রচলনের আগে শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাকে কুমারী হিসেবে পুজো করেছিলেন। কুমারী হিসেবে পূজিতা সারদা ছিলেন ষোড়শী। কুমারী পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কোনও বালিকাকে কুমারী হিসেবে পুজোর ক্ষেত্রে জাতপাতের ভেদাভেদ নেই।