ওয়েব ডেস্ক: বিগত কয়েকমাসে বিশ্বের কূটনৈতিক মানচিত্রটা অনেকাংশে বদলে গিয়েছে। আমেরিকা-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ফাটল হয়েছে আরও চওড়া। এই অবস্থায় চর্চায় এসেছে জিনপিং (Xi Jinping) প্রশাসনের এক বড় পদক্ষেপ। বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল (Fuel Oil) মজুত করছে চীন (China)। সূত্রের খবর, মাত্র ৯ মাসে ১৬ কোটি ব্যারেল ক্রুড পেট্রোলিয়াম (Crude Petroleum) মজুত করেছে সে দেশ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বিপুল আমদানির পরেও চীনে বেড়েই চলেছে পেট্রোলিয়ামের দাম। এই অবস্থায় একটা প্রশ্ন উঠছে – চীন কি কোনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে?
আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশ্লেষকদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে চীন প্রায় ১৬ কোটি ব্যারেল ক্রুড পেট্রোলিয়াম বা অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। এই বিপুল পরিমাণ জ্বালানির মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। জানা গিয়েছে, এই তেল কিনছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং বেসরকারি পরিশোধনাগারগুলি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই তেল মজুতের প্রবণতা ২০২৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখবে চীন। কিন্তু কেন? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: অবশেষে ৭ পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস!
জিনপিং প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তেল মজুতের কারণ জানানো না হলেও, বিশ্লেষকদের মতে এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশল। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি, চীন-আমেরিকা বাণিজ্যযুদ্ধ, এমনকি তাইওয়ান নিয়ে সম্ভাব্য সংঘাত—সব মিলিয়ে চীন ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে চীনের মোট তেল সংরক্ষণ ক্ষমতা ছিল ১.৪ বিলিয়ন ব্যারেল, যা ২০২৪ সালের শেষে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২.০৩ বিলিয়ন ব্যারেল। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ আরও ১২.৪ কোটি ব্যারেল ক্ষমতা যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা। তাদের মতে, বর্তমানে চীনের মোট মজুত ক্ষমতার ৪০ শতাংশের বেশি ফাঁকা, ফলে সংরক্ষণের কোনও সীমাবদ্ধতা আপাতত নেই।
দেখুন আরও খবর: