ওয়েব ডেস্ক: গোটা বিশ্ব যখন মহাকাশের রহস্য সন্ধানে উদগ্রীব, তখন চীন (China) সবার আড়ালে গবেষণা চালাচ্ছে সমুদ্রের অতল গভীরে (Deep Sea)। কারণ, এখনও পর্যন্ত মহাকাশের বিভিন্ন অজানা কথা জানা গেলেও গভীরতম সমুদ্রের বেশিরভাগটাই অনাবিষ্কৃত। তাই এবার জল দুনিয়ার রহস্য উদঘাটনে চীনা বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন এক আশ্চর্য রোবট (Jellyfish Robot), যা দেখতে একেবারে আসল জেলিফিশের মতো। ‘আন্ডারওয়াটার ফ্যানটম’ (Underwater Phantom) নামের এই রোবটটি তৈরি করেছেন নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষক তাও কাই ও তাঁর দল। উদ্দেশ্য একটাই- সামুদ্রিক জীববৈচিত্রের ক্ষতি না করে সেখানের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করা।
তবে সবথেকে অবাক করার বিষয় হল, এই রোবটের আকার, আকৃতি ও গঠনশৈলী। কারণ, এই চীনা রোবটের দেহ স্বচ্ছ ও নরম। পাশাপাশি জেলিফিশের মতো এতেও রয়েছে একাধিক শুঁড়, যেগুলি তৈরি হয়েছে বিশেষ এক হাইড্রোজেল ইলেকট্রোড উপাদান দিয়ে। সেই কারণেই জেলিফিশের স্বাভাবিক গতিবিধিকে হুবহু অনুকরণ করতে পারে এই ‘আন্ডারওয়াটার ফ্যান্টম’। জলের নিচে এটি এতটাই স্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করে যে সেটি আসল জেলিফিশ নাকি নকল, তা বোঝা প্রায় অসম্ভব।
আরও পড়ুন: ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন CIA অফিসারের
এই জলজ রোবটের ব্যাস ১২০ মিলিমিটার এবং ওজন মাত্র ৫৬ গ্রাম। এটি একধরনের ইলেকট্রোস্ট্যাটিক হাইড্রোলিক অ্যাকচুয়েটর ব্যবহার করে চলে, যা জেলিফিশের স্নায়ুতন্ত্রের সংকেতের মতো কাজ করে। মাত্র ২৮.৫ মিলিওয়াট শক্তিতে এটি দীর্ঘ সময় ধরে জলের নিচে নিঃশব্দে চলতে পারে। সেই কারণেই এর নির্মাতারা দাবি করছেন যে, এই রোবট চালানোর খরচ অত্যন্ত কম।
রোবটটিতে রয়েছে একটি ছোট্ট ক্যামেরা ও এআই চিপ, যা মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু চিনে নিতে সক্ষম। ফলে এটি গোপন নজরদারি বা দীর্ঘমেয়াদি বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ অভিযানে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বায়োনিক জেলিফিশ গভীর সমুদ্র অভিযানে বেশ দক্ষ। কিন্তু এর মাধ্যমে চীন আদতে কী খুঁজতে চলেছে, তা এখনও অজানা। সেই নিয়েই এবার ঘনাচ্ছে রহস্য।
দেখুন আরও খবর:







