কলকাতা: সোমবার বিধানসভা (Assembly) থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি ছাড়াও আরও তিন বিজেপি বিধায়ককে (BJP MLAs) ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই ফের বিপাকে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস জারি করলেন বিধানসভা অধ্যক্ষ। পাশাপাশি তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হয়ে যে ধরনের বক্তব্য রাখছেন বা আচরণ করছেন তা বিধানসভার নিয়মের পরিপন্থী।”
যদিও এই সবকিছু অর্থাৎ, সাসপেনশন থেকে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়াকে ‘তৃণমূলের নিত্যকর্ম’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এখনও অবধি চার বার সাসপেন্ড করেছে, ৫ বার নোটিস জারি করেছে। এটা ওদের নিত্যকর্ম।” বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “ওরা ভয় পেয়েছে। হিন্দু আস্থা, হিন্দু দেব-দেবীর সম্মান ও হিন্দুত্বের আওয়াজকে ভয় পেয়েছে। ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা।”
আরও পড়ুন: ED-র পর CBI-এর মামলাতেও জামিন পেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’
এদিকে মঙ্গলবার সকালে বিধানসভার অধ্যক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বিরোধী দল বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা নমনীয় হলে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, “ওদের যদি শুভ বুদ্ধির সূচনা হয়, তাহলে ওরা আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত আবেদন করলে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি বিষয়টি ভেবে দেখতে পারি।” তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হয়ে যে ধরনের বক্তব্য রাখছেন বা আচরণ করছেন তা বিধানসভার নিয়মের পরিপন্থী।”
প্রসঙ্গত, সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই রাজ্যে সরস্বতী পুজোতে অশান্তি নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব পাঠ করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তবে এই প্রস্তাব শোনার পরেই অধ্যক্ষ সাফ জানিয়ে দেন যে, এই প্রস্তাব নিয়ে কোনও আলোচনা হবেনা। তারপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী স্পিকারের কাছে গিয়ে প্রস্তাবের কাগজ ছুঁড়ে দেন এবং বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করেন। এরপর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাসপেনশন অর্ডার দেন।
দেখুন আরও খবর: