ওয়েব ডেস্ক: ঘটা করে নোটবন্দি (Demonetization) করেই সেভাবে কালোটাকা উদ্ধার করতে পারেনি কেন্দ্র। এমনকি জাল নোটের (Fake Currency) রমরমা সাময়িক কমলেও সম্প্রতি তা আবারও মাত্রা ছাড়িয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank Of India) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। আরবিআই-এর তথ্য বলছে, মাত্র এক বছরে ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭.৩ শতাংশ, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আবারও নোট বাতিল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে চিহ্নিত জাল ৫০০ টাকার নোটের মোট আর্থিক মূল্য ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা, যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক ছিল ৪ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা। শুধু ৫০০ টাকার নোট নয়, ২০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রেও জাল মুদ্রার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশেরও বেশি।
আরও পড়ুন: এই বছরেই ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছোঁবে ১০০ কোটি?
এই চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান সামনে আসার পর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির শরিক নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু দাবি করেছেন, ৫০০ টাকার নোটই দুর্নীতির মূল উৎস। তাঁর মতে, এই নোট বাতিল করে ডিজিটাল লেনদেনকে আরও উৎসাহিত করা উচিত। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যতদিন পর্যন্ত বড় অঙ্কের নোট চালু থাকবে, ততদিন দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব নয়।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোট বাতিল করে বলেছিলেন, এতে জাল নোট ও কালো টাকার রমরমা বন্ধ হবে। এরপরই চালু হয় নতুন ২০০০ ও ৫০০ টাকার নোট। কিন্তু সাত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও কমেনি জাল নোটের রমরমা। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ২০১৬ সালের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর ছিল?
দেখুন আরও খবর: