Thursday, August 28, 2025
HomeScroll‘অরণ্য নিধন’, বনাঞ্চল চিহ্নিতকরণে কমিটি গঠন না করা রাজ্যগুলিকে সুপ্রিম হুঁশিয়ারি

‘অরণ্য নিধন’, বনাঞ্চল চিহ্নিতকরণে কমিটি গঠন না করা রাজ্যগুলিকে সুপ্রিম হুঁশিয়ারি

নয়াদিল্লি: ‘মুখ্যসচিবদের (Chief Secretary) ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ করবে আদালত’। বনাঞ্চল চিহ্নিতকরণে বিশেষজ্ঞ কমিটি (Expert Committee on Demarcation of Forest Areas) গঠন না করা রাজ্যগুলিকে সুপ্রিম হুঁশিয়ারি (Supreme Court)।

আগামী এক মাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে বন সংরক্ষণ এবং সংবর্ধন রুলস ২০২৩ অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে বনাঞ্চল চিহ্নিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই কমিটিগুলি রিপোর্ট জমা দেবে। কেন্দ্র সামগ্রিক একটি রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে। নির্দেশ বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি এ জি মাসির।

উল্লেখ্য, অরণ্য সংরক্ষণ আইনের (Forest Conservation Act) ২০২৩ সালের সংশোধন চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেই সূত্রে ১৯৯৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ অনুসরণে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ। সেইমত অরণ্য এলাকা চিহ্নিতকরণের নির্দেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে চিহ্নিত অরণ্য এলাকার নথি পেশ করার নির্দেশ।

আরও পড়ুন: ‘ভুতুড়ে ভোটার’: দেশের সমস্ত নির্বাচনী আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ কমিশনের, ৩১ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট তলব

পেশ হওয়া নথি কেন্দ্রকে ডিজিটাইজেশন করে সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়ার নির্দেশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অরণ্য এলাকায় হাত না দেওয়ার নির্দেশ। জরুরি প্রয়োজনে হাত দিতে হলে সমপরিমাণ অরণ্য তৈরি করে দেওয়ারও নির্দেশ।

মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন অরণ্য নিধন হয়ে চলেছে। বলা হচ্ছে, বিকল্প অরণ্য তৈরি করা হবে। দ্বিতীয়ত, কোন অরণ্যের মাঝখানে যথেচ্ছ বৃক্ষনিধন হলে পুরো অরণ্যাঞ্চলটাই কার্যত ধ্বংস হয়ে যায়।

বস্তুত বিকল্প অরণ্য সৃষ্টির বিষয়টাই অত্যন্ত বিতর্কিত এবং আপত্তিকর। তৃতীয়ত, মনে রাখতে হবে বিগত ২৭ বছরে রাজ্যগুলি অরণ্যাঞ্চল চিহ্নিতকরণের কাজ করেইনি। ফলে অরণ্য নিধন হয়েই চলেছে। তার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি আদিবাসী, উপজাতীয়দের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আদালতে পেশ হওয়া মামলাকারীদের কিছু অভিযোগ।

দেখুন অন্য খবর:

Read More

Latest News