নয়াদিল্লি: রোহিঙ্গা শিশুদের (Rohingya Children) ভর্তির আবেদনে পরিবারগুলির ঠিকানা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের (Rohingya Infiltrators) উদ্বাস্তু (Refugees) দাবি করে, এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (Voluntary organizations) ওইসব পরিবারের শিশুদের স্থানীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন।
ওই উদ্বাস্তুরা অস্থায়ী বন্দি শিবিরে, নাকি আবাসিক কলোনিতে থাকছে? হলফনামা মারফত সোশ্যাল জুরিস্ট, এ সিভিল রাইটস গ্রুপ নামে সংস্থাটির জবাব তলব আদালতের।
আরও পড়ুন: সইফ আলি কাণ্ডে সিমকার্ডের হদিশে নদিয়ায় মুম্বই পুলিশ
যদি পরিবারগুলি বন্দী শিবিরে থাকে এবং তাদের শিশুদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে তাদের অভিভাবকরাও সন্তানদের অনুসরণ করবে। আদালতের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটি জানায়, ওই উদ্বাস্তু সন্তানদের শুধুমাত্র শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টায় এই আবেদন।
বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এম কোটেশ্বর সিং-জানতে চান, তারা কোথায় থাকে? তাদের ঠিকানা কি? তাদের রেশন কার্ড কোথায়? তোমরা কি শিবির থেকে শিশুগুলিকে বাইরে আনতে চাইছ?
মায়ানমার থেকে চোরা পথে ভারতে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির জন্য দিল্লি হাইকোর্ট, দিল্লি সরকার এবং পৌরসভার কাছে সংস্থাটির আবেদনের আগে খারিজ হয়ে গিয়েছে। কারণ ভারত সরকার সরকারিভাবে বা আইনত এদের অনুপ্রবেশ অনুমোদন করেনি। আবেদনকারীকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন করতে বলেছিল দিল্লি হাইকোর্ট।
যা সোজা পথে হবে না, তোমরা সেটাই ঘুরপথে করতে চাইছ। যা আদালত অনুমোদন করতে পারে না। এই বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সরকারের। জানিয়েছিল হাইকোর্ট।
দেখুন অন্য খবর: