ওয়েবডেস্ক- আজ ‘মন কি বাত’-(Maan Ki Baat) এর ১২৭ তম পর্ব থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বক্তব্য, আসুন আজ আমরা এমন একটি বিষয়ে কথা বলি, যা হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। এই বিষয়বস্তু হল আমাদের জাতীয় সঙ্গীত – ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, ‘বন্দে মাতরম’ (Vande Mataram) । এমন একটি গান যার প্রথম শব্দই আমাদের হৃদয়ে আবেগের ঢেউ তোলে। ‘বন্দে মাতরম’ – এই একটি শব্দেই অনেক আবেগ, অনেক শক্তি আছে।” সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটি আমাদের মা ভারতীর মাতৃস্নেহ অনুভব করায়।
এটি মা ভারতীর সন্তান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে। যদি কোনও অসুবিধার মুহূর্ত আসে, তাহলে ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে ঐক্যের শক্তিতে ভরে তোলে। এদিন দেশবাসীকে দেশাত্মবোধ ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)।
মোদি এদিন বলেন, আপনারা হয়তো ভাবছেন কেন আমি হঠাৎ করে ‘বন্দে মাতরম’ সম্পর্কে এত কথা বলছি! আসলে, মাত্র কয়েকদিন পরে, ৭ নভেম্বর, আমরা ‘বন্দে মাতরম’ উদযাপনের ১৫০ তম বছরে (‘Vande Mataram’ 150 Anniversary Celebration) পদার্পণ করব। ‘বন্দে মাতরম’ ১৫০ বছর আগে রচিত হয়েছিল এবং ১৮৯৬ সালে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবারের মতো এটি গেয়েছিলেন।” কোটি কোটি ভারতবাসীর কাছে এটি গর্বের দিন। গানটি আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এই ভারতই আমাদের গড়ে তুলতে হবে। এই প্রচেষ্টায় ‘বন্দে মাতরম’ সর্বদা আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। অতএব, আমাদের অবশ্যই ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০তম বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মূল্যবোধের এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
উদযাপনে জনসাধারণের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আগামী সময়ে, ‘বন্দে মাতরম’ সম্পর্কিত অনেক অনুষ্ঠান হবে, দেশে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আমি চাই আমরা সকল দেশবাসী যেন ‘বন্দে মাতরম’-কে মহিমান্বিত করার জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচেষ্টা চালাই। ‘বন্দে মাতরম ১৫০’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আপনার পরামর্শ আমাকে পাঠান। আমি আপনাদের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করব, আমরা সকলেই এই উপলক্ষটিকে ঐতিহাসিক করে তুলতে একসাথে কাজ করব।
আরও পড়ুন- সরকারি প্রভাবে আদানিদের সংস্থায় ‘বিনিয়োগের’ দাবিকে খারিজ LIC-র!
বন্দে মাতরম- স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে এক হৃদয় আন্দোলিত করা দেশাত্মবোধক গান। যা ব্রিটিশদের দেশ থেকে নির্মূল করতে ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এক হিল্লোল তুলেছিল। ১৮৯৬ সালের ৭ নভেম্বর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই গান রচনা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম’ দেশপ্রেম এবং মাতৃভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিনিধিত্ব করে। দেশপ্রেম… মা ভারতীর প্রতি ভালোবাসা… যদি এটি শব্দের বাইরের কোনও আবেগ হয়, তাহলে ‘বন্দে মাতরম’ হল সেই গান যা সেই বিমূর্ত অনুভূতিকে বাস্তব কণ্ঠস্বর রূপ দেয়। শতাব্দীর দাসত্বের কারণে দুর্বল ভারতবর্ষে নতুন প্রাণ সঞ্চার করার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এটি রচনা করেছিলেন। বন্দে মাতরম” হয়তো উনিশ শতকে লেখা হয়েছিল, কিন্তু এর চেতনা হাজার হাজার বছরের পুরনো ভারতের অমর চেতনার সঙ্গে যুক্ত।
গানটির পেছনের অনুভূতির প্রাচীন শিকড়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বেদ ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করেছিল, যে অনুভূতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বন্দে মাতরম’ লিখে প্রকাশ করেছিলেন, “আবেগের জগতে মাতৃভূমি এবং তার সন্তানদের মধ্যে একই সম্পর্ককে মন্ত্র হিসেবে তুলে ধরেছিলেন”।
দেখুন আরও খবর-







