ওয়েবডেস্ক- দূষণে ভয়াবহ অবস্থায় দিল্লি (Delhi) । মাত্রাছাড়া দূষণে ধোঁয়াশায় (Haze) রাজধানী। দীর্ঘ আট বছরে চলতি বছরের অক্টোবরেই সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় কাটিয়েছে দিল্লি। যা পরিস্থিতি হয়েছে এই মুহূর্তে রেড জোনে (Red Zone) রাজধানী।
শীতে সতর্কবার্তা দিয়েছে এআইকিউ (AIQ) CREA-CPCB ডাটায় ট্রেন্ড খারাপ, ঝুঁকিতে রয়েছে শীতকাল। দিল্লির বাতাসের মান এই মরশুমের সবচেয়ে খারাপ। তাপমাত্রা কমতে থাকায় একদিকে ঘন কুয়াশা, অপরদিকে দূষণে ধোঁয়াশার মেলবন্ধনে দিল্লির অবস্থা অসহনীয়।

সোমবার সকালে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় এনসিআর (NCR) শহরগুলিতে ঘন চাদরে ঢেকেছে। সকাল ৭ টায় বায়ু সূচকের মান ছিল ৩৭২, যা গুরুতর অবস্থাকে চিহ্নিত করে। ফরিদাবাদে ৩১২, গাজিয়াবাদে ৩১৮, গ্রেটার নয়ডাতে ৩২৫, গুরুগ্রামে ৩২৮ এবং নয়ডাতে ৩১০ ৷ যা সবই ‘অত্যন্ত খারাপ’ থেকে ‘গুরুতর’ সীমার মধ্যে পড়ে। আনন্দ বিহারের AQI ৩৭৯ , ITO ৩৭৬, চাঁদনি চক ৩৬০, ওখলা ফেজ-২ ৩৪৮, জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম ৩১৬ এবং IGI বিমানবন্দর (T3) ৩০৫ নথিভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার ভোট, প্রহর গুণছে বিহার
বিশেষজ্ঞের মতে শীতকালে দূষণ বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ এই সময় বাতাসের গতিবেগ কমে যায়, ফলে দূষিত বায়ু মাটির কাছেই আটকে থাকে। ফলে দূষণের প্রভাব বাড়ে। ফলে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক হতে পারে এই দূষণ। ফলে যতদিন না বাতাস পরিষ্কার হচ্ছে, ততদিন সতর্কতাই একমাত্র ভরসা দিল্লিবাসীর কাছে। কেন্দ্রের একটি তথ্য অনুযায়ী, এর জন্য অনেকটাই দায়ী ফসল পোড়ানো।

হরিয়ানা ও পঞ্জাবে ফসলের গোড়া পোড়ানোর কারণে রাজধানীর বাতাসে পিএম ২.৫-এর পরিমাণ ৯.৪৮ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। যা এই বছরের শীতে সর্বোচ্চ। দূষণ মোকাবিলার দাবি জানিয়ে ইন্ডিয়া গেটের সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা।
দেখুন আরও খবর-







