ওয়েব ডেস্ক: কৃষকের আর্থিক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতি এড়ানোর স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ করতে বাধ্য সরকার, এই রায় দিল ছত্তিশগড় হাইকোর্ট (Chattisgarh High Court)। আদিম জাতি সেবা সহকারী সমিতি মর্যাদিত কুলহারিয়া নামক সোসাইটির গুদামে জমে থাকা ধান অবিলম্বে সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। কমিশন না দেওয়ার ও দীর্ঘ সময় ওই শস্য জমা হয়ে থাকার কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই সোসাইটি।
শস্য সংগ্রহ (Crop Collection) কেন্দ্রগুলি দফায় দফায় শস্য সংগ্রহের কথা বললেও অজ্ঞাত কারণে সেই সময়সীমা বারবার পিছিয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার পরেও যাতে শস্য সংগ্রহ করা হয়, সেই ব্যাপারে সরকার ভাবনাচিন্তা করছে বলে জানানো হয়। কিন্তু জমে থাকা ধান সঠিক সময় সংগ্রহ না করলে সময়ের সঙ্গে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে, বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে, এমনকী পোকামাকড় ও ইঁদুরের হামলার ফলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মামলাকারী সোসাইটির উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে বলে অভিমত আদালতের।
আরও পড়ুন: অভিযুক্তদের খালাস করতে গিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা কর্নাটক সরকারের
সরকার সময় মতো ওই ধান না নেওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গুদামে সেই ধান রক্ষা করার খরচ বাড়ছে। সময়ের সঙ্গে ধানের মান খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে বলে অভিযোগ সোসাইটির। যা মামলাকারীর প্রতি অন্যায় শুধু নয়, জনস্বার্থেরও পরিপন্থী। কারণ এর ফলে সরকারের রাজস্বেরও পরোক্ষে ক্ষতি হচ্ছে। অভিযোগ মামলাকারীর। অবিলম্বে ওই শস্যের মান নির্ধারণ ও ওজন করে মামলাকারীকে রসিদ দেওয়ার নির্দেশ। যে ওজন পাওয়া যাবে, তার ভিত্তিতেই হিসাব করারও নির্দেশ।
দেখুন অন্য খবর: