নয়াদিল্লি: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ভেলোরে চামড়া কারখানাগুলি তাদের বর্জ্য নিকাশি জল পরিশোধন না করেই নদীতে ফেলছিল। এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই মামলায় চামড়া কারখানাগুলিকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
চামড়া কারখানাগুলির বর্জ্য নিকাশি জল পরিশোধন না করেই ভেলোর জেলায় পালার নদীতে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। ক্ষতিসাধন করা কারখানাগুলির জন্য ‘পলিউটার পে’ নীতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ধার্য করল সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে প্রাকৃতিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় এবং বিকল্প উপযুক্ত পদ্ধতি খোঁজার। এই মামলার নিয়মিত ব্যবধানে শুনানি হবে জানিয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে নির্দেশ পালন করে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: ‘যমুনায় বিষ’ কেজরিওয়ালকে সমন হরিয়ানা আদালতের
বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা (Justice JB Pardiwala) মন্তব্য করেন, জারি হওয়া নির্দেশ অমান্যকারীকে তিহার জেলে পাঠানো হবে, তামিলনাড়ুতে নয়। যতদিন আমরা এখানে আছি, এই মামলার তদারক করে যাব।
আর এক বিচারপতি আর মহাদেবন (R Mahadevan) জানিয়েছেন, আংশিক পরিশোধন করে অথবা পরিশোধনহীন নিকাশি জল পালার নদীসহ আশপাশের এলাকায় ফেলা হচ্ছে। ফলে এলাকার জলাশয়, মাটির নীচের জল এবং কৃষিজমি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশের এই ব্যাপক ক্ষতির ফল ভুগছেন স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ ছাড়াও ট্যানারিগুলির কর্মীরাও। ফলে জনস্বাস্থ্য ও জীবন সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির সম্মুখীন। এভাবে বর্জ্য জল ফেলা যে অনুমোদন করা হয়নি এবং তা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দ্বারা অনুমোদিত নয়, সেটাও স্পষ্ট। বর্জ্য জল পরিশোধনে সেন্ট্রাল অ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হলেও তা পুরোপুরি কাজে লাগানো হচ্ছে না। এমনকী সরকার এজন্য যে গাইডলাইন তৈরি করেছে তাও ওই কারখানাগুলি অনুসরণ করছে না। তাই আদালত কঠোর পদক্ষেপ করতে বাধ্য।
দেখুন অন্য খবর: