ওয়েব ডেস্ক: প্রস্তর যুগে (Stone Age) চিবিয়ে ফেলা এক টুকরো ‘চুইং গাম’ ১০ হাজার ৫০০ বছর পরে জানিয়ে দিল তার খাদকের চেহারা। সম্প্রতি উত্তর ইউরোপের (New Europe) ইস্টোনিয়ায় খননকার্যে আবিষ্কৃত ওই গামের টুকরোয় পাওয়া প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ করে এক কিশোরীর পরিচয় পুনর্গঠন করলেন টারটু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গবেষকদের মতে, এই ‘গাম’ আসলে বার্চ গাছের ছালের তৈরি আঠালো গঁদ, যা প্রাচীন মানুষেরা দাঁতের ব্যথা কমাতে এবং কখনও ‘চিউইং গাম’ হিসেবে চিবোতেন। গাঁদের উপর পাওয়া দাঁতের দাগ ও লালারসের নমুনা থেকে কিশোরীর ডিএনএ পৃথক করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি থেকে অভিবাসন বন্ধ করব! হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ডিএনএ বিশ্লেষণে জানা গেছে,
• গামটি চিবিয়েছিল এক কিশোরী
• তার চুল ছিল বাদামি
• চোখের মণির রংও ছিল বাদামি
গবেষকদের মতে, এই আবিষ্কার উত্তর ইউরোপের আদিম মানুষের চেহারা সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। ঐতিহাসিক বেটানি হিউ বলেন, উত্তর ইউরোপের মানুষের চুল সোনালি ও চোখ নীল- এই প্রচলিত বিশ্বাস নতুন গবেষণায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে। টারটু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএনএ ডেটাবেসে বর্তমানে দেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের জিনগত তথ্য থাকায়, অতীত ও বর্তমানের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্ভব হয়েছে।
ইস্টোনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া আরও প্রত্নবস্তু নিয়েও গবেষণা চলছে। সম্প্রতি ৮০০ বছরের পুরনো একটি ধাতব ক্রুশ ও দ্বাদশ শতকের এক মহিলার সমাধি থেকে ব্রোঞ্জ-রুপোর গয়না, খাবার ও পাখির ডিম উদ্ধার হয়েছে। এগুলি থেকে উত্তর ইউরোপে মধ্যযুগের শেষকৃত্যের রীতিনীতির স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, কয়েক হাজার বছর আগের একটি গাঁদের টুকরো আজ প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রা ও তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এক নতুন সেতুবন্ধনের সুযোগ করে দিয়েছে।
দেখুন আরও খবর:







