ওয়েবডেস্ক- পশ্চিমবাংলায় (West Bengal) ১০০’র (100-Year-Old Voters) বছরের পুরনো ভোটারদের মধ্যে ৫০ শতাংশ আর জীবিত নেই, প্রাথমিক ভোটার তালিকা অনুসন্ধানের পরে জানাল নির্বাচন কমিশন (ECI) । এখনও পর্যন্ত তাদের নাম রাজ্য সরকারের (State Government) ভোটার তালিকায় (Voter List) রয়েছে। এই ভোটার সংখ্যা ঠিক কত, সঠিক সংখ্যা জানা যাবে এসআইআর সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই জানালেন প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা (সিইও) (Chief Electoral Officer (CEO))
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুসারে, প্রায় ৫০ শতাংশ ভোটার যাদের বয়স ১০০ বছর, বা যারা ১০০ বছর অতিক্রম করেছেন তাদের নাম এখনও পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় রয়েছে তারা আর কেউ বেঁচে নেই।
শতাব্দী পর শতাব্দী ধরে মৃত ভোটারদের নাম নির্বাচনী তালিকায় রয়েছে। কমিশনের তথ্য অনুসারে যারা ১০০ বছর পার করেছে সেই সমস্ত ভোটারের সংখ্যা ১৩ হাজার।
বাংলায় খুব শীঘ্রই এসআইআর শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, কমিশন ইতিমধ্যেই CEO-এর অফিসকে সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রস্তুতি, বিশেষ করে গণনার ফর্ম ছাপানোর বিষয়ে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- আগুন নিয়ে খেলবেন না, কেন বললেন মমতা?
সম্প্রতি বাংলায় এসেছিলেন নির্বাচনী প্রতিনিধি দল। সেই সময় মৃত ভোটারদের নাম ও ভুয়ো ভোটারদের নাম দেওয়ার কাজটির দিকে বেশি নজর দিয়েছিলেন। আশা করা হচ্ছে, মৃত ভোটারদের নাম নির্বাচনী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার মধ্যে দিয়েই এসআইআর পদ্ধতি বাংলায় শুরু হবে। এর মধ্যে প্রথম ক্যাটাগোরিতে অন্তভুক্ত থাকবে তারা, যারা এক জায়গায় থেকে স্থানান্তরিত হয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুরনো ও নতুন দুই ঠিকানাতেই নাম রয়েছে। এই ধরনের মামলায় পুরনো ঠিকানা থেকে সেই সমস্ত ভোটারদের নাম কেটে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে যারা পরিযায়ী হিসেবে বাংলা থেকে অন্যত্র চলে গিয়েছে,তাদের নামে সেই রাজ্যে রয়েছে, অথচ তাদের নাম আবার বাংলার নির্বাচনী তালিকাতেও আছে।
এদিকে এসআইআর নিয়ে সুর চড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, বাংলায় এসআইআর করতে তিনি দেবেন না। এসআইআর ইস্যুতে কারুর নাম বাদ দেওয়া চলবে না।
দেখুন আরও খবর-