তাপস চক্রবর্তী, হুগলি (চন্দননগর): মেয়ে সুতন্দ্রার (Sutandra Chatterjee) মৃত্যুতে ইভিটিজিংয়ের (Eve teasing) তত্ত্বতেই অনড় মা তনুশ্রী চ্যাটার্জি (Tanushree Chatterjee)। উড়িয়ে দিলেন পুলিশের দাবি। পানাগড় কাণ্ডে (Panagarh incident) পুলিশের দাবি রেষারেষির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সুতন্দ্রার মায়ের দাবি, ওই ড্রাইভার রেষারেষি করে না।
এদিকে এই ঘটনায় গতকালই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানান, কোনও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের হয়নি।
এদিকে সুতন্দ্রার মায়ের দাবি ইভটিজিং করা হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে কিনা সে প্রশ্নে বলেন, যে অভিযোগ করেছিল তার সঙ্গে কথা হয়নি। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুতন্দ্রার মায়ের আরও অভিযোগ, হাইওয়েতে কেন কোনও পুলিশ ছিল না। ওদের গাড়ি ধরা পড়ল, আর অভিযুক্তরা কেন ধরা পড়ল না?
আরও পড়ুন: পানাগড়ে কাণ্ডে কাঁকসা থানায় CID
সুতন্দ্রার মৃত্যুতে চন্দননগর নাড়ুয়ার রায় পাড়ায় শোকের ছায়া। বাড়িতে মা, বৃদ্ধা ঠাকুমা ও দিদিমা থাকেন।
ঠাকুমা কল্পনা চ্যাটার্জি অনবরত কেঁদে চলেছেন। প্রতিবেশীরা ও আসছেন। প্রতিবেশীরাও চাইছেন এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি।
সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী দেবী বাকরুদ্ধ। ঘটনার পর পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নিরাপত্তা নেই। এই রকম একটা ঘটনার পর পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারল কিনা জানতে পারলাম না। তবে ইভটিজিং দাবিতেই অনড় তনুশ্রী দেবী।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে রবিবার রাতে গয়ায় নাচের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন সুতন্দ্রা চ্যাটার্জি। সেই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর। দেহ ময়নাতদন্তের পর রাত পৌনে দশটা নাগাদ চন্দননগরের নাড়ুয়ায় বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাঁর দেহ। রাতেই চন্দননগরের বড়াইচন্ডীতলা শ্মশান ঘাটে সুতন্দ্রার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে রাতে তিন সঙ্গীকে নিয়ে গয়া যাচ্ছিলেন সুতন্দ্রারা। অভিযোগ, দুর্গাপুরের বুদবুদের একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার পর তাদের গাড়িকে ধাওয়া করে একটি সাদা গাড়ি। গাড়িতে কয়েকজন মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সুতন্দ্রাকে নিয়ে কটূক্তি করতে থাকে তারা। তার গাড়ির পিছু নেয় ওই গাড়িটি। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সুতন্দ্রা চ্যাটার্জি।
দেখুন অন্য খবর: