Wednesday, September 17, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollশিল্পদেবতার আরাধনার এক অজানা গল্প বিষ্ণুপুরে
Bishnupur

শিল্পদেবতার আরাধনার এক অজানা গল্প বিষ্ণুপুরে

বিশ্বকর্মা পুজোতে আরাধনা অগস্ত্য মুনির! নেপথ্যে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

ওয়েব ডেস্ক : শিল্পদেবতার আরাধনার এক অজানা গল্প বিষ্ণুপুরে (Bishnupur)। বিশ্বকর্মা পুজোতে (Vishwakarma Puja) আরধনা করা হয় অগস্ত্যমুনির (Agastya Muni)। এমন চল রয়েছে বিষ্ণুপুরের শঙ্খ শিল্পীদের। এই পুজোর নেপথ্যে রয়েছে এক পৌরাণিক প্রেক্ষাপট। শঙ্খ শিল্পীদের কাছে অগস্ত্যমুনি জীবন ও জীবিকার আশীর্বাদদাতা।

সারা দেশজুড়ে কারখানায় ও শিল্পীদের বাড়িতে আরাধিত হচ্ছেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা (Vishwakarma)। কিন্তু, বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) শাখারী পাড়ায় ভিন্ন ছবি। শঙ্খশিল্পীরা ভক্তিভরে পুজো করেন অগস্ত্যমুনির। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই অনন্য প্রথা মেনে চলছেন তারা।

আরও খবর : বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করল ইলিশ বোঝাই ট্রাক

পুরাণ মতে, বৃত্রাসুর বধের পর সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে ছিল অনান্য সহচর। তাদের নির্মূল করতে নারায়ণের নির্দেশে অগস্ত্য মুনি (Agastya Muni) এক গন্ডুষে সমুদ্রের সমস্ত জল পান করেন। নিধন করা হয় অসুরদের। সেই সময় সমুদ্রের তলদেশ থেকে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন প্রজাতির শাঁখ। আর সেই শাঁখ, শাখারি সম্প্রদায়ের পেশাগত মূল উপাদান হয়ে ওঠে। অগস্ত্য মুনির কারণে জীবিকার সন্ধান পায় শাখারী সম্প্রদায়।

শিল্পী ও শিল্পের আবির্ভাবের সময়কাল অনেকের অজানা৷ তবে ইতিহাসবিদদের মতে, বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) এই শাখারী বাজারের আবির্ভাব অষ্টাদশ শতাব্দীতে, বিষ্ণুপুরের মল্লরাজা দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহের সময় কালে। মল্লরাজাদের ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকলা আজও টিকে আছে অগস্ত্যমুনির আশীর্বাদে। বিষ্ণুপুরের শাখারী বাজারে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন যেন পুরাণ আর ইতিহাস মিলেমিশে একাকার। শিল্পীদের কাছে অগস্ত্যমুনি শুধু পূজিত নন, তিনি জীবন ও জীবিকার আশীর্বাদদাতা।

দেখুন অন্য খবর :

Read More

Latest News