ওয়েবডেস্ক- বছর ঘুরলেই অসমে বিধানসভা নির্বাচন (Assam Assemble Election)। তার আগেই বিজেপি (BJP) ছাড়লেন অসমের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেন গোহাঁই (Former Union Minister Rajen Gohain) । অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি ছেড়ে অসম জাতীয় পরিষদ (এজেপি) থেকে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেন গোহাঁই। গত কয়েকদিন ধরেই গোহাঁই হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর সুর তুলে লাগাতার অভিযোগ করে আসছিলেন।
২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির সঙ্গে অসমেও বিধানসভা নির্বাচন। নওগাঁ থেকে অসম জাতীয় পরিষদের টিকিটে নওগাঁ থেকে রাজেন গোহাঁই ভোটে লড়তে পারেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। রাজেন বুধবার অসম সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বলেন, অসমের জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে বাইরে থাকা আসা মানুষজনকে এখানে বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়ে ভূমিপুত্রদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। রাজ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের বীজ বুনছে বিজেপি, অহমিয়া সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার খেলায় নেমেছে।
রাজেন গোহাঁই নগাঁওর সাংসদ ছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মোট চার বার নগাঁও লোকসভা আসনের সাংসদ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম মেয়াদে গোহাঁই ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। গত লোকসভা ভোটে গোহাঁইকে টিকিট না দিয়ে নগাঁও থেকে সুরেশ বরাকে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে হেরে যান।
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই বিহার ভোট, NDA Vs INDIA, কে এগিয়ে?
২০১৯ সালে আসুর (AASU) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লুরিনজ্যোতি গগৈ (Lurinjyoti Gogoi) সিএএ-বিরোধী (CAA) আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন, যা থেকেই গঠিত হয় অসম জাতীয় পরিষদ। তাদের দলের সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু ডিব্রুগড় আসন থেকে তিনি বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে হেরে যান।
দেখুন আরও খবর-







