বাঁকুড়া: ওরা নারী শক্তি, ওরা দশভুজা, ওরা দুর্গারই (Durga Puja) আরেক রূপ। বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাস ব্লকের সাহসপুর দাসপাড়ার এক মহিলাগোষ্ঠী আজ সমাজকে দেখিয়ে দিচ্ছেন, মেয়েরা চাইলে সবই পারে। সংসারের কাজ সামলানো থেকে শুরু করে ঢাক বাজানো, সবেতেই তারা সমান দক্ষ। পুজোর মরসুমে মহিলা ঢাকি টিমের বায়না হয় দূর-দূরান্তে।
বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম সাহসপুর দাসপাড়া। এখানেই বাস লতা, অসীমা, অনিমাদের। যারা সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তৈরি করেছে এক বিশেষ পরিচয়। ঢাক বাজিয়ে তারা জয় করেছেন ইন্দাসবাসীর মন। পুজোর আগে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রতিদিনই চলছে মহড়া, চলছে ঢাক মোছার কাজ। ঢাক বাজানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিনোদনের খেলাতেও পারদর্শী তারা। কখনো মাথায় ঢাক নিয়ে তাল তোলা, কখনও বা মুখে কামড়ে ধরে ঢাক বাজানো, সবেতেই সমান দক্ষ এই মহিলা ঢাকি দল। যদিও এদের সঙ্গে সঙ্গ দেয় পাঁচ পুরুষও। তবে এই ঢাকি দল গড়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে এক গল্প। শুরুতে পড়তে হয়েছে নানা বাধার মুখে।
আরও পড়ুন: এখানে দেবী ব্যাঘ্রবাহিনী, বৈচিত্র্যময় অযোধ্যার জমিদার বাড়ির পুজো
সংসারের যাবতীয় কাজ সামলে জমিতে শ্রমিকের কাজ করেন মহিলারা। তবে অপেক্ষা থাকে দুর্গাপুজোর। কারণ পুজোর সময়ই তাদের মহিলা ঢাকি টিমের বায়না হয় দূর-দূরান্তে। একটানা কয়েকদিন ঢাক বাজিয়ে উপার্জিত অর্থ চলে যায় সংসার চালানোর খরচে। এবারের দুর্গাপুজোতেও তারা ঢাক বাজাতে যাবেন প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের নৈহাটিতে। সাহসপুর দাসপাড়ার এই দশভুজাদের গল্প একদিকে অনুপ্রেরণার, অন্যদিকে সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া নারীরা চাইলে সব পারে।
অন্য খবর দেখুন
