ওয়েবডেস্ক- নয়া বিল (Bill) ইস্যুতে কেন্দ্রকে (Central Government) নিশানা করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav )। তেজস্বী বলেন, বিহার (Bihar) আর অন্ধ্রপ্রদেশের(Andhrapradesh) মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্থার জন্যই এই বিল আনছে কেন্দ্র। কেন্দ্র একটি নয়া বিল আনছে। সেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোনও গুরুতর অভিযোগে একমাসের বেশি গ্রেফতার হয়ে থাকলে তার পদ চলে যাবে। এমনকি বিচার না হলেও।
বিলটি আইনে পরিণত হলে এটির আওতায় পড়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা। এই বিল প্রসঙ্গেই সুর চড়ালেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) আর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে (Chandrababu Naidu) ব্ল্যাকমেল করার জন্যই এই বিল আনছে কেন্দ্র। কিন্তু এদের সম্মিলিত সমর্থন ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না। তেজস্বী বলেন, সামনেই বিহার ভোট তাই সব কিছু ভেবে চিন্তেই করা হচ্ছে।
নয়তো মানি লন্ডারিং মামলা এনে ইডিকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়া হবে। তার পরেই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হতে পারে। তেজস্বী আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, গণতন্ত্র ধসে পড়েছে। দেশ গঠন করতে গিয়ে তারা নষ্ট করে ফেলছে। তেজস্বীর এদিনের বক্তব্যে সায় দেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা সহ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারা।
আরও পড়ুন-কাঁপবে শত্রুপক্ষ, অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল ভারত
প্রসঙ্গত, লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার সঙ্গে শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক বাদানুবাদ।লোকসভায় ‘সংবিধান সংশোধনী বিল’ পেশ করার পর শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। এই প্রস্তাবিত আইনকে “অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক” আখ্যা সরব হয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য পি চিদাম্বরম। ই বিল একটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে, যেখানে লোকসভা থেকে ২১ জন ও রাজ্যসভা থেকে ১০ জন সদস্য থাকবেন। এই বিলের ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করছে কমিটির সুপারিশ এবং সংসদের চূড়ান্ত বিতর্ক ও ভোটাভুটির উপর।
এই বিল নিয়ে কেন্দ্রের যুক্তি, রাজনীতিতে নৈতিককতা মানদণ্ড বজায় রাখতেই এই বিল আনা হচ্ছে। অমিত শাহ দাবি করেছেন, যে নেতারা গুরুতর অপরাধে জড়িত তারা দায়িত্বে থাকতে পারবে না। এই বিলের লক্ষ্যই হল রাজনৈতিক সতত ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা।
দেখুন আরও খবর-