মালদা: ভুতুড়ে ভোটার তালিকা নিয়ে তোলপাড় চলছে। এবার ভুতুড়ে রেশন প্রাপক সামনে এল রাজ্যে! ১১ মাস আগে প্রকাশিত রেশনের তালিকায় (Ration List) মৃত গৃহবধূ আকতারা খাতুন। রেশনের দাবিতেই সেই তিনি ২০০ কিলোমিটার দূর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ির এলাকায় বিডিও অফিসে হাজির। ঠিক যেন অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড! যেমন অনেক সময় দেখা যায় ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তি ভোট দিয়েছেন এই বাংলায়। কিন্তু এখানে ভুতুড়ে ভোটার নয়। তিনি জীবিত। মৃত শুধু রেশনের তালিকায়। তাই এগারো মাস ধরে বন্ধ রেশন। মালদার হরিশচন্দ্রপুরের এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখন দেখার ওই ‘ভূতে’র ভবিষ্যৎ কী। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বাংলায় বাংলাদেশিরা ভুয়ো রেশন কার্ড বের করে রেশন পান। কিন্তু যাঁরা প্রকৃত প্রাপক। তাঁদের মৃত দেখানো হয়।
আসলে বিষয়টা কী? মালদার (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের (Harishchandrapur Block 1) রাঙ্গাইপুর গ্রামের বাসিন্দা আকতারা। প্রায় দুই বছর আগে নদীয়া (Nadia) জেলার করিমপুরের বাসিন্দা সালাম মন্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরবর্তীতে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে রেশন কার্ড বদলের জন্য তিনি বিডিও অফিসে আসেন। সেখান থেকে বলা হয় রেশন কার্ড বদল করা হয়েছে। কিন্তু করিমপুরে রেশন কার্ড করতে গিয়ে তাঁকে জানানো হয় রেশন তালিকায় তাঁর নাম মৃত। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় রেশন। দিনমজুর, খেটে খাওয়া পরিবার। সরকারের দেওয়া রেশন যাঁদের কাছে অন্ন জোগানের অন্যতম মাধ্যম। গৃহবধূর রেশন বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পডে ওই পরিবার। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক অফিসে আসেন তাঁরা। এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ!
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? কতটা গাফিলতি আধিকারিকদের? রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বুথ সভাপতি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আধিকারিকদের শাস্তির দাবি করেছেন। ওই গৃহবধুর স্বামীর অভিযোগ, আমরা পড়াশোনা জানি না বলে আমাদের এই ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। বিজেপির কটাক্ষ যে রাজ্যে বাংলাদেশিরা রেশন কার্ড পায়। সেই রাজ্যের মানুষ এই ভাবেই বঞ্চিত হন। যদিও তৃণমূলের দাবি, কোনও সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবেন না। যেটা ভুল হয়েছে সেটা দ্রুত ঠিক করতে হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।
দেখুন অন্য খবর: