নরেন্দ্রপুর: ইএম বাইপাসের (Eastern Metropolitan Bypass) নামী পানীয় কোম্পানির ভেতরে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার (Body Found)। ঘটনায় চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুরে। জানা গিয়েছে, বাথরুমে রক্তমাখা দেহ উদ্ধার হয়, গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, পরিবার ও সহকর্মীদের দাবি, এটি পরিকল্পিত খুন। ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক নামী পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার ভেতর থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা নরেন্দ্রপুর এলাকায়। শুক্রবার সকালে ওই সংস্থার বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবকের নাম কবির হোসেন মোল্লা, বয়স প্রায় ৩০। মাত্র আট মাস আগে তার বিয়ে হয়েছে। গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান— এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত কবির ওই সংস্থার কর্মী ছিলেন। পরিবারের দাবি, গত ২২ অক্টোবর দুপুরের পর থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওইদিন দুপুরে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল তার। তারপর থেকে ফোন বন্ধ থাকায় উদ্বেগ বাড়ে পরিবারের মধ্যে। পরদিন তারা সরাসরি ওই সংস্থার অফিসে গিয়ে খোঁজ নিলে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি। কেউ বলেছিল, “ও তো শিফট পেরিয়ে গেছে।” কিন্তু কোম্পানির অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে দেখা যায়, ‘আউট’ মার্কই করা হয়নি! এই অসঙ্গতি নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপের জের! ভিজবে বহু জেলা
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কোম্পানির ভেতরে পরিকল্পিতভাবে কবিরকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই কর্তৃপক্ষের অধিকাংশই গা ঢাকা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সংস্থার মেনগেটের সামনে উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ পুরো ঘটনাটি তদন্তে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের দিকেই ইঙ্গিত মিলছে। পুলিশ সংস্থার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিবারের দাবি, “কবিরের সঙ্গে কারো কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। ও খুবই শান্ত, পরিশ্রমী ছেলে ছিল। অফিসেই কিছু গোলমাল হয়েছে। আমরা খুনের বিচার চাই।”স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “একটা নামী কোম্পানির ভিতরে এমন ভয়ংকর ঘটনা! যদি কোম্পানির মধ্যেই মানুষ নিরাপদ না থাকে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?” পুরো এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। পুলিশের তদন্তে ঠিক কী বেরিয়ে আসে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে নরেন্দ্রপুরবাসী।
অন্য খবর দেখুন







