কলকাতা: কালীপুজোর (Kali Puja) আগেই আতসবাজি নিয়ে রাজ্য সরকারের নজরদারিতে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে হাজির হয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের গভর্মেন্ট প্লিডার। নিষিদ্ধ সত্ত্বেও এবারও যে শব্দবাজি (Crackers) ফাটানো হবে এবং অনেকেই নিয়ম ভাঙবেন তা কার্যত পরিষ্কার। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কড়া অবস্থান আদালতের। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে (Manoj Pant) আধঘণ্টার ডেডলাইন দিয়েছে! শব্দবাজি বন্ধের ইস্যুতেই এই পদক্ষেপ হাইকোর্টের।
আতশবাজি নিয়ে রাজ্যকে মাত্র ৩০ মিনিট সময় দিল ডিভিশন বেঞ্চ। নইলে মুখ্যসচিবকে ডেকে জিজ্ঞেস করতে বাধ্য হবো, নির্দেশ হাইকোর্টের। আতসবাজি মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতি বলেন, বাজি বাজার শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের জন্যে কি গাইডলাইন? আর কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আপনারা রেজোলিউশন নিচ্ছেন আর আপনারাই প্রস্তুত নন? কালীপুজো আগামী সোমবার। শুধু কি কাগজ কলমে ? রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিব গ্রিন বাজি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। সেই নির্দেশিকা সব জেলার জেলাশাসককে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:ডিজিটাল দুনিয়ায় BJP-কে আটকাতে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ তৃণমূলের!
রাজ্যের উত্তর শুনে সন্তুষ্ট নয় আদালত। বরং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ও অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চের বলে, “আপনারাই রেজোলিউশন নিচ্ছেন, আবার আপনারাই প্রস্তুত নন? সব কিছু কি শুধু কাগজে-কলমে থাকবে?”এরপরই আদালত কড়া হুঁশিয়ারির সুরে বলে, “আপনাদের ৩০ মিনিট সময় দিলাম। না হলে মুখ্যসচিবকে ডেকে জিজ্ঞেস করতেই হবে।” দ্রুত সেই সময়ের মধ্যেই রাজ্যের তরফে রিপোর্ট জমা পড়ে আদালতে। জানানো হয় বাজি বিক্রেতাদের ট্রেনিংয়ের জন্য নাম চূড়ান্ত হয়েছে, ডাকা হবে ফায়ার সেফটি প্রশিক্ষণে
পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড কী করছে? শব্দবাজি বা দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নিয়েছে?” রাজ্যের তরফে জানানো হয়, “আমরা দীপাবলির আগে ও পরে বায়ুদূষণের মাত্রা পরীক্ষা করি।” বিচারপতির মন্তব্য, “কাজ কি শুরু হয়েছে? কোনও টিম বানিয়েছেন কি? বাজির গুণমান পরীক্ষার ব্যবস্থা কোথায়?”দায় ঠেলেছে জেলার উপর। বিচারপতির কড়া প্রতিক্রিয়া: “আপনারা যদি দায় না নেন, জেলা শাসকরা কী করবেন?”ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। রাজ্য তিন সপ্তাহের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে।
দেখুন ভিডিও