কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam Case) কালীঘাটের কাকুর পর এবার কণ্ঠস্বরের নমুনা দিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। মঙ্গলবার এই মামলায় বিচার ভবনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (Metropolitan Magistrate ) সামনে কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই। প্রায় ৪০ মনিট ধরে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের কাজ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নমুনা জমা দেওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুন্তল ঘোষ ৷ দুর্নীতি মামলায় দিব্যেন্দু অধিকারী ও ভারতী ঘোষকেও ডাকা উচিত বলে দাবি তাঁর ৷
প্রাথমিকের মামলায় ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। মঙ্গলবার কলকাতার বিচার ভবনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তদন্তকারী অফিসারের উপস্থিতিতে গলার স্বরের নমুনা দেন কুন্তল ঘোষ। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপারিশের তালিকায় শুভেন্দু ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ও ভারতী ঘোষের নাম উঠে আসে। এদিন কুন্তল শুভেন্দু অধিকারীর ভাইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আমার গায়ে বিরোধী দলের রং লেগে আছে। আমি বিরোধী দলনেতার ভাই বলে আমাকে কিছু করা হবে না। দিব্যেন্দু অধিকারী ও ভারতী ঘোষকেও ডাকা উচিত। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। তাদের ভূমিকা সিবিআই বলতে পারবে।’’
আরও পড়ুন: বড়তলায় ৭ মাসের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজা
নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের মামলায় ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে সিবিআই-ও গ্রেফতার করে তাঁকে। অভিযোগ, চাকরির প্রতিশ্রুতির বিনিময় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। হিসাব-বহির্ভূত বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ছিল কুন্তলের বিরুদ্ধে।প্রায় ২৩ মাস পরে গত নভেম্বরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, কুন্তল চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় চার কোটি টাকা তুলেছেন। ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল সরকারি অফিসে। অন্য দিকে, ইডির দাবি ৩২৫ জন শিক্ষক-পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন যুবনেতা কুন্তল। সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি, টেটে ফেল করা প্রার্থীদের যোগ্য প্রমাণ করতে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন কুন্তলেরা।
অন্য খবর দেখুন