উত্তরাখণ্ড: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) চামোলিতে (Chamoli) তুষারপাত (Avalanche Warning) কেড়ে নিয়েছে আটজন শ্রমিকের জীবন। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফের তুষারপাতের সতর্কতা জারি করল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। চামোলিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্যাম্পে প্রায় ৬০ জন শ্রমিক ছিল। তুষারধসে আটকে পড়ে তারা। তাদের মধ্যে আট জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বাকিদের উদ্ধার করে সেনা।
ফের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমুদ্র পৃষ্ট থেকে তিনহাজার মিটার দূরত্বে চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, পিথোরগড় জেলায় তুষারপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
চণ্ডীগড়-ভিত্তিক ডিফেন্স জিওইনফরমেটিক্স রিসার্চ এস্টাব্লিশমেন্ট বা ডিজিআরই কর্তৃক জারি করা হয়েছে এই সতর্কতা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্ক কোপ কি এড়াতে পারবে ভারত? দেখুন বড় আপডেট
চামোলি এবং রুদ্রপ্রয়াগ সীমান্তবর্তী উত্তরকাশী জেলার জন্য ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের তিনটি জেলা চাম্বা, লাহুল স্পিতি এবং কুল্লু কিন্নৌরে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, গান্ডেরওয়াল, বারামুল্লা, কূপওয়ারা, রাজৌরি, পুঞ্চ সহ কার্গিলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
চামোলিতে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের শ্রমিকদের একটি শিবির তুষারধসে চাপা পড়ার এক সপ্তাহ পরে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শ্রমিকদের ক্যাম্পটি ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩২০০ মিটার উচ্চতায়, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। প্রায় ২০০ সেনা কর্মী, বায়ুসেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মিলে শ্রমিকদের উদ্ধার নামে। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৭ ও ১ মার্চ তুষারপাতের মধ্যে ৩৩ জন শ্রমিককের উদ্ধার করা হয়।
তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই অঞ্চলে এখনও কমপক্ষে তিন ফুট তুষারপাত রয়েছে। চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ এবং পিথোরাগড় জেলাগুলি ভারত-তিব্বত সীমান্তের সঙ্গে সংযুক্ত এবং এখানে সেনাবাহিনী এবং ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের সীমান্ত চৌকি রয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: