ওয়েব ডেস্ক: সামনেই দুর্গাপুজো। পুজো উপলক্ষে কেনাকাটাতেও মন দিয়েছেন অনেকেই। তবে রকমারি পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে তুললেই হবে না, নিজেকে পরিপাটী দেখাতে ত্বকের ও চাই বিশেষ যত্ন (Skin Care)। পুজোর ৪ টে দিন নিখুঁত উজ্জ্বল ত্বক পেতে ভরসা প্রাকৃতিক উপকরণই। কারণ নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী (Make up Products) বা পার্লার ট্রিটমেন্টে (Parlour Treatment) সাময়িক উপকার মিললেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। পুজোর আগে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন ঘি বা মালাই। হেঁশেলের এই দুই দুগ্ধ উপকরণে ত্বকের জেল্লাও বাড়বে আবার ত্বক নরমও হবে। তবে দুইয়ের মধ্যে কোনটা বেশি ভাল তা বাছাই করাই মুশকিল। চিন্তা নেই! এই প্রতিবেদনে খুঁটিনাটি জেনে নিন।
১.ঘি’তে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Anti-Oxidants), যা শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বককে (Dry Skin) মোলায়েম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ঘি ত্বকে ব্যবহার করলে তা হয়ে ওঠে কোমল ও নমনীয় (Soft Skin)। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে। ফলে চামড়া থাকে টানটান এবং বয়সের ছাপ পড়তে সময় লাগে। ফাটা ঠোঁট কিংবা গোড়ালির যত্নেও ঘি দারুণ উপকারী।
আরও পড়ুন: থাইরয়েডের সমস্য়া! মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
২.দুধের উপর জমে থাকা সর বা মালাই ল্যাকটিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল। নিয়মিত মালাই দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে ত্বক মসৃণ ও নরম হয়। এটি দাগছোপ হালকা করতেও সাহায্য করে। সব ধরনের ত্বকেই মালাই ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে যাঁরা স্ক্রাবার (Scrubber) ব্যবহার করতে চান না, তাঁদের জন্য এটি একটি এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে।
ঘি না মালাই কোনটি উপযুক্ত?
ঘি ও মালাই দুটিই ত্বকের যত্নে উপকারী। তবে কোনটি ব্যবহার করবেন, তা নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরনের উপর। যদি আপনার ত্বক খুবই শুষ্ক হয়, তাহলে ঘি ব্যবহার করে ম্যাসাজ করুন। আর যদি ত্বক একটু তৈলাক্ত হয়, তাহলে ঘি এড়িয়ে মালাই ব্যবহার করাই ভালো। মালাই একদিকে যেমন ত্বক পরিষ্কার করে, তেমনি ট্যান দূর করতেও সাহায্য করে।
দেখুন অন্য খবর