ওয়েবডেস্ক- হাথনিকুণ্ড বাঁধ (Hathnikund Barrage) থেকে ২৯ হাজার কিউসেক (29,000 Cusecs) জল ছাড়া হল। এর জেরে ভাসতে পারে দিল্লি (Delhi)। রাজধানীতে জারি করা হয়েছে বন্যার সতর্কতা (Flood Alert)।
রবিবার মৌসম বিভাগ (IMD) জানিয়েছে, ভারতে এই বছরে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা অন্যান্য বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। দিল্লি সরকার বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। যমুনার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সোমবার সকালে হাতনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে ২৯, ৩১৩ কিউসেক জল ছাড়ার যমুনা নদীর জল বেড়েছে। বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে নীচু এলাকাগুলির দিকে অতিরিক্ত নজর রাখতে বলা হয়েছে।
CWC অনুমান করছে দিল্লি পুরাতন রেলওয়ে সেতু জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করতে ২০৬.৫০ মিটার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লি সরকার সমস্ত সেক্টর অফিসারদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় কঠোর নজরদারি রাখার এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। নদীর বাঁধের মধ্যে বসবাসকারী লোকদের সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে সব সময় টহলদারির নির্দেশ। যমুনার জলস্তর বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই ময়ূর বিহারের একটি ত্রাণ শিবিরের তৈরি করা হয়েছে। ময়ূর বিহারের বাসিন্দা অশোক এই বন্যা ত্রাণ শিবিরগুলি সম্পর্কে জানিয়েছেন, তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। বন্যার সময় নদীতীরবর্তী মানুষ এই তাঁবুগুলিতে এসে বসবাস করতে পারবে।
আরও পড়ুন- ৩ সন্তান নীতি নিয়ে ভাগবতকে তোপ ওয়েইসির
এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে আইএমডির ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র (IMD Director Mrityunjay Mohapatra) জানান, মাসের দ্বিতীয়ার্ধে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা পুনরুজ্জীবিত হয় ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত চলবে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অগাস্ট মাসে সমগ্র ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৬৮.১ মিমি, যা ২০০১ সালের পর সপ্তম সর্বোচ্চ এবং ১৯০১ সালের পর ৪৫তম স্থানে রয়েছে। অগাস্ট মাসে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৬৫.০ মিমি, যা ২০০১ সালের পর সর্বোচ্চ এবং ১৯০১ সালের পর ১৩তম স্থানে রয়েছে।
দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ (২৫০.৬ মিমি), যা ২০০১ সালের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং ১৯০১ সালের পর অষ্টম সর্বোচ্চ। ১৪ অগাস্ট থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। ২০২৫ সালের অগাস্টের দ্বিতীয়ার্ধে চারটি নিম্নচাপ ব্যবস্থা তৈরির ফলে সক্রিয় থেকে তীব্র মৌসুমী বায়ু বিরাজমান ছিল, যার মোট পনেরো দিন স্থায়ী ছিল।
দেখুন আরও খবর-