নয়াদিল্লি: টার্গেট আর পরিশ্রম ফের ভারতকে (India) সাফল্য এনে দিল। মহাকাশে স্পেস ডকিং (Space docking) করতে সক্ষম হল দেশ। রাশিয়া (Russia), চিন (China), আমেরিকার (America) পর ভারতের মাথায় নতুন পালক।
বিশ্বের (World) মধ্য চতুর্থ দেশ হিসেবে নজির গড়ল ভারত। ইসরোর (Isro) এই সাফল্যে মহাকাশ সংস্থাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি pm Narendr Modi)। ভারত যে আগামীদিনে মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ দিতে তৈরি সেকথা এদিন জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এই ডকিংয়ের কাজটি করার কথা ছিল গত ৭ জানুয়ারি ও ৯ জানুয়ারি। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তা পিছিয়ে যায়।
স্পেস ডকিং কি-
ডকিং প্রযুক্তি, সাধারণভাবে, মহাকাশে স্পেসস্টেশন স্থাপনের জন্য অত্যন্ত জরুরি ৷ সোজা কথায় বললে দুটি মহাকাশযানকে একসঙ্গে সংযুক্ত করতে হয়। দুটি মহাকাশযানের মধ্যে ডকিং সম্পন্ন হলে এবং তবেই মহাকাশচারীরা নিরাপদে স্পেস স্টেশনের চাপযুক্ত কেবিনে প্রবেশ করতে পারেন। মহাকাশ যানকে রিফুয়েলিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ, মহাকাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা ৷
আরও পড়ুন: অষ্টম পে কমিশন গঠনে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়
যখনই মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানো হয়, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তখন তারা যে বিশেষ শাটল বা ক্যাপসুলে করে ভ্রমণ করেন সেগুলিকে ডকিং করতে হয়।
মহাকাশে এই ডকিং সম্পন্ন করা সবচেয়ে কঠিন এবং জটিল পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি। সামান্য ভুল হলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। ডকিং-এর জন্য দুটি স্পেস ক্র্যাফট থাকে। ল্যান্ডার স্পেস ক্রাফট এবং কুরিয়ার স্পেস ক্রাফট। এই দুই মহাকাশযানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন প্রক্রিয়াকে ডকিং বলে। ভারতের ডকিং মিশনেও দুটি মহাকাশ যান ছিল।
ইসরো জানিয়েছে, দুটি মহাকাশযানের নাম হল চেজার এবং টার্গেট, প্রতিটির ওজন ২২০ কিলোগ্রাম করে। অতি দ্রুত এই ডকিংয়ের কাজ শেষ করেছে ভারত।
গত ৩০ ডিসেম্বর উৎক্ষেপণ করা ২ স্যাটেলাইটটি। উপগ্রহ দুটির মধ্যে স্পেডেক্স ১ হল চেজার। স্পেডেক্স ২ টার্গেট। গত ১২ জানুয়ারি পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই ২ স্যাটেলাইটের ১৫ মিটার ও ৩ মিটারের মধ্যে আসতে পারছে কিনা। এই ডকিং হয়ে যাওয়ার ফলে মহাকাশে স্পেশস্টেশন স্থাপনে একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। এটি কাজ লাগবে চন্দ্রাভিযানেও।
দেখুন অন্য খবর: