কলকাতা: ফের কাঠগড়ায় আরজি কর হাসপাতাল! আর এবার টানা তিন ঘন্টারও বেশি সময় চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে পড়ে থাকল রোগী। ঘটনায় অভিযোগের তীর জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্যদের দিকে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ বাম সমর্থক জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদ্যসরা জোড় করে তাদের দিয়ে সাদা কাগজে মুচলেকা লেখানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হাড়োয়া থানা থেকে ভাই সুজিত ঘোষকে নিয়ে আসেন দিদি গীতা ঘোষ। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল তার? জানা যাচ্ছে, বাড়িতে অশান্তির জেরে বছর চল্লিশের সুজিত ঘোষ বিষ খেয়েছিলেন। তড়িঘড়ি তাকে তার দিদি গীতা ঘোষ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি করার জন্য আনেন। কার্ড ও তৈরি করে নেন। কিন্তু বিকেল চারটেয় কার্ড করার পরও সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত চিকিৎসাহীন অবস্থায় পড়ে ছিল সে। সেই সময়কালীন দেখা পাওয়া যায়নি কোন ডাক্তারেরও। হাসপাতালের অভিযোগ, ডিউটি চলাকালীন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি ডা. সিতীশ।
আরও পড়ুন: কেমন আছেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য?
উল্লেখ্য, গতবছরের ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে নামে জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট। ডাক দেওয়া হয় কর্মবিরতির। আর সেই প্রতিবাদে সামিল ছিলেন ডক্টর সীতিশও। সেই সময় বহু মানুষ চিকিৎসা পাননি। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ফ্রন্টের অভিযোগ ছিল মানুষজনকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে হবে। কিন্তু সেই কথাই যে নিজেদের উপর কার্যকর হলনা। ফ্রন্টের সদস্যরা যে এখনও কর্মবিমুখ, ফের সেই প্রমাণ মিলল বুধবার। রোগীর পরিবারের তরফে গীতা ঘোষ জানিয়েছেন, ‘টানা তিন ঘণ্টা চিকিৎসা না পেয়ে বেডে ছটফট করছিল আমার ভাই। শেষমেশ সাড়ে সাতটা নাগাদ চিকিৎসা শুরু হয়েছে।”
জানা যাচ্ছে, ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ফ্রন্টের সদস্যরা তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিবারের অভিযোগ, তাদের সাদা কাগজে মুচলেকা লেখানো হয়। সেই মুচলেকাতে লেখানো হয় চিকিৎসকেরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করেছে। গীতা ঘোষ জানিয়েছেন, “আমি পড়াশোনা জানি না। আমায় কয়েকজন বলে আমরা বয়ান লিখে দিচ্ছি আপনি তাতে টিপছাপ দিয়ে দেবেন।”
জানা যাচ্ছে, এদিনের এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে তে মেডিক্যাল অফিসার তাপস প্রামাণিকের ঘরে হুমকি দেন জেডিএফ সদস্য ডা. সীতিশ, ডা. রুবেল।
দেখুন অন্য খবর