কলকাতা: চার বছর আগে কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mullick) বাড়িতে কালীপুজো (Kali Puja) শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattaraj)। তখনও তিনি কাঞ্চনের স্ত্রী নন। কিন্তু সেই থেকেই প্রতি বছর দায়িত্ব নিয়ে পুজোর সমস্ত আয়োজন সামলান তিনি। এবছরও ব্যতিক্রম নয়। উপরন্তু এবছরই মেয়ে কৃষভির প্রথম দীপাবলি (Diwali), তাই তোড়জোড়ও তুঙ্গে কাঞ্চন–শ্রীময়ীর।
শ্রীময়ী জানান, দুর্গাপুজোর প্রচুর আয়োজন ও লোকবল লাগে, তাই সেই পুজো করা সম্ভব নয়। কিন্তু কালীপুজোরও কম নিয়ম নেই। রবিবার রাত থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন তাঁরা। পুজোর দিন ভোরে হাওড়ার হাট থেকে ফুল আনেন। দশকর্মার জিনিসপত্র আগে থেকেই কিনে রাখা। গত চার বছর ধরে **কালীঘাটের একটি দোকান থেকে মা কালীর বেনারসী শাড়ি আনেন তাঁরা। এক বছর আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে গয়না তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি!
শ্রীময়ী বলেন, “এবছর মা কালীর জন্য মিনে করা সোনার হার কেনা হয়েছে। সঙ্গে থাকবে বড় হার, মুকুট, হাতবালা, চূড়, নুপূর—সব মিলিয়ে সোনার গয়নায় সেজে উঠবেন মা।” ভোগের আয়োজনও কম নয়। তালিকায় আছে খিচুড়ি, লাবড়া, পাঁচরকম ভাজা, ফুলকপির রসা, পনির বা বাঁধাকপি, চাটনি, মিষ্টি ও পায়েস।
প্রতি বছর উপোস থেকে নিজেই ভোগ রান্না করেন শ্রীময়ী। শুধু গত বছর অন্তঃসত্ত্বা থাকায় নিজে রাঁধতে পারেননি। তাঁর নির্দেশেই কাঞ্চন রান্না করেছিলেন ভোগ। এবছর দু’জন মিলে ভোগ রান্না করবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “গত বছর কৃষভি গর্ভে থাকায় উপোস রাখতে পারিনি। তবে বড়দের নিষেধ সত্ত্বেও শুধু ডাবের জল খেয়ে ছিলাম।”
কাঞ্চনের পৈতৃক বাড়িতে কালীপুজোর প্রচলন শুরুই হয়েছিল শ্রীময়ীর হাত ধরে। কাঞ্চনের মা-র মৃত্যুর পর প্রতি বছর পুজোর দিন অভিমান করে বাড়ি অন্ধকার রাখতেন কাঞ্চন। ২০২১ সালে শ্রীময়ী প্রথমবার বাড়িতে গিয়ে বলেন, “মা কালী নিজে পুজো চাইছেন।” সেই থেকেই এই পুজোর সূচনা। শ্রীময়ী আরও জানান, কাঞ্চনের মা নাকি সাধক রামপ্রসাদের বংশধর। এবার পুজোর দিন কাঞ্চন–শ্রীময়ী দু’জনেই পরবেন নতুন পোশাক। ছোট্ট কৃষভির জন্য কেনা হয়েছে শারারা স্টাইলের জামা।
দেখুন আরও খবর: