শুভজিৎ দেবনাথ, বানারহাট: লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) ও বার্ধক্য ভাতার (Old age allowance) টাকা আটকে রাখায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন শালবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দুরামারি এলাকার বহু গ্রাহক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
অভিযোগ, পূর্ব দুরামারিতে অবস্থিত পল্লী মঙ্গল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে বহু স্থানীয় মানুষ ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন, কারও রয়েছে সেভিংস অ্যাকাউন্ট। অভিযোগ, ফিক্সড ডিপোজিট ম্যাচুরিটি হলেও সমবায় ব্যাঙ্ক সেই টাকা দিচ্ছে না। একই সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বৃদ্ধভাতার অনুদান প্রতিমাসে জমা পড়লেও গ্রাহকরা তা তুলতে পারছেন না।
এদিন সকাল থেকে গয়েরকাটা ( Gairkata) থেকে নাথুয়াগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। তাঁদের দাবি, ব্যাংকে জমা থাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা সহ বিভিন্ন জমানো টাকা দ্রুত ফেরত দিতে হবে। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভের পর থেকেই পুনরায় এই আন্দোলনে নেমেছেন সমবায় ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা (Co-operative Bank) ।
সমবায় সমিতি অবশ্য দায় চাপিয়েছেন নতুন পরিচালন সমিতির উপরে। তাঁর দাবি, নতুন কমিটি নির্বাচিত হলেও তারা দায়িত্ব নিচ্ছেন না। ফলে চেকে সই না হওয়ায় গ্রাহকদের টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি সমবায়ের কর্মীরাও সমস্যায় পড়ছেন। বিষয়টি লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন- পানীয় জলের কল থেকে বেরোচ্ছে ঘোলাটে জল! সমস্যায় কাঁকসার গোপালপুরের বাসিন্দারা
অন্যদিকে, নবনির্বাচিত পরিচালন সমিতির দাবি, প্রায় ৬১ লক্ষ টাকার হিসেব নেই। হিসেব না পাওয়া পর্যন্ত আমরা দায়িত্ব নেব না। সাধারণ মানুষ বহু কষ্টে উপার্জিত টাকা জমা করেন, সেই টাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। বিষয়টি আমরা সব মহলে জানিয়েছি।”
এ প্রসঙ্গে বানারহাট থানার আইসি বিরাজ মুখ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
দেখুন আরও খবর-