ওয়েব ডেস্ক: অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু মন্থার। ঘূর্ণিঝড় মন্থার (Cyclone Montha) ল্যান্ডফল শুরু হয়েছে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১০০ কিমি। অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সে রাজ্যে ইতিমধ্যে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুর্যোগ শুরু হয়েছে ওড়িশাতেও (Odisha) । ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাল দিল্লির আবহাওয়া দফতর ৷
অন্ধ্র উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে তার আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কাকিনাড়ার (Kakinada) কাছে মছলিপটনম (Machilipatnam) ও কলিঙ্গপটনমের (Kalingapatnam) মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের গতি প্রায় ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দমকা ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গে ঝড় না হলেও প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বভাস। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং দমকা ঝোড়ো হাওয়ার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। ৩১ বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে দিল্লিতে BS-VI না মেনে চলা যানবাহন নিষিদ্ধ
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু (N. Chandrababu Naidu) উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসন কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সাইক্লোন সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাকিনাড়া ও কোনাসীমা (Konaseema) অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে চলেছে। প্রায় ১০,০০০ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২৬ জন গর্ভবতী আছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি ওড়িশাতেও (Odisha) ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাব পড়তে চলেছে। উপকূলবর্তী আটটি জেলা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।





