ওয়েব ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় দফায় পাহাড় সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙের মহাকাল মন্দিরে (Darjeeling Mahakal Temple) পুজো দিলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দার্জিলিং-এর মহাকাল মন্দিরে প্রার্থনা করার পর, স্থানীয়দের সঙ্গে জনসংযোগও সারেন তিনি। কথা বলেন মন্দিরের পুরোহিত ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একগুচ্ছ নায় পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। বাংলায় এবার সবচেয়ে বড় শিবের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দার্জিলিং পাহাড়ে তার দুই দিনের সফরের সময়, তিনি মিরিকের ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের তাদের বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন করেন। তিনি সুখিয়া ব্লকের ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের ঘর মেরামতের জন্য ত্রাণ সামগ্রী সহ ১.২০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করেন। আজ সকালে, রিচমন্ড হিল থেকে হেঁটে তিনি মহাকাল মন্দির পরিদর্শন করেন এবং শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। মন্দিরে পুজো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যাটারি গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে। শিলিগুড়িতে একটি বৃহৎ সবচেয়ে বড় শিবের মন্দির নির্মাণের জন্য দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জমি খোঁজার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমরা একটা জগন্নাথ ধাম করেছি দিঘায়। রাজারহাটে দুর্গাঙ্গন হবে। ইকো পার্কের ঠিক উলটো দিকের জমিতেই ‘দুর্গাঙ্গন’ তৈরি করা হবে। যার জন্য খরচ হবে আনুমানিক ২৬২ কোটি টাকা। শিলিগুড়িতেও কনভেনশন সেন্টার হবে। সেজন্য জেলাশাসককে বলেছি, জমি দেখে রাখতে। তার পাশে আমি একটা বড় মহাকাল মন্দির করব। সবচেয়ে বড় শিব করব। এটা করতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। তবে জমিটা বিনা পয়সায় দেব। সরকার সবটাই করে দেবে। সবাইকে নিয়ে মন্দিরটা হবে।’ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হিন্দু ভোট পেতে এই ঘোষণা মমতার মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
দেখুন ভিডিও