ওয়েবডেস্ক- মাত্র ১৬ মিনিট। তার মধ্যেই ছাত্রীকে চরম পরিণতির হাত থেকে বাঁচাল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) এক ছাত্রী ইনস্টাগ্রামে (Instagram) আত্মহত্যার (Suicide Post) একটি পোস্ট দেয়। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে করা আত্মহত্যা-সম্পর্কিত পোস্টের সতর্কতা গ্রহণের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (Up Police) ২০২২ সাল থেকে মেটার সঙ্গে একটি ব্যবস্থা চালু করেছে। কীটনাশক ট্যাবলেটের একটি ছবি এবং ইনস্টাগ্রামে একটি হতাশাজনক ক্যাপশন একজন তরুণীর শেষ বার্তা হতে পারত। কিন্তু পুলিশের তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে, ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
পুলিশ মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যে একটি মেটা ফ্ল্যাশ দেখতে পায়, ২০ বছর বয়সী বিএ (BA) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী আত্মহত্যার করতে যায়। পুলিশ জানিয়েছে এটি তাদের একটি বড়সড় অভিযানের অংশ।
ফেসবুক (Face Book) এবং ইনস্টাগ্রামে আত্মহত্যা-সম্পর্কিত পোস্ট সম্পর্কে সতর্কতার ভিত্তিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে রাজ্যে ১,৩১৫ জনকে বাঁচানো হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ অগাস্ট রাত ১২.45 নাগাদ তাদের কাছে যখন মেটা রাজ্য পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া সেন্টারে একটি ইমেল সতর্কতা পাঠায় একজন ছাত্রের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট সম্পর্কে। যেখানে কীটনাশকের প্যাকেট দেখানো হয়েছে এবং পোস্টের ক্যাপশনে আত্মহত্যার বার্তা দেওয়া ছিল।
এই বার্তাটি পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে যায়, ডিজিপি রাজীন কৃষ্ণা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মেটা কর্তৃক শেয়ার করা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে, বরেলি পুলিশ ছাত্রীর অবস্থান শনাক্ত করে। তার পরেই সিবি গঞ্জ থানা এলাকার তার বাসভবনে একটি দল পাঠায়।
আরও পড়ুন- লিভ-ইন সঙ্গীকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিল অ্যাপ ক্যাব চালক
সতর্কতা পাওয়ার ১৬ মিনিটের মধ্যেই, সাব-ইন্সপেক্টর এবং মহিলা পুলিশ কর্মীরা ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছান। তখন ছাত্রীটি বমি করছিল, তাঁকে অস্থির অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশকে ওই ছাত্রীকে জানায়, ইনস্টাগ্রামে একজনের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল, সে একজেনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর পরেই ওই যুবক তাঁকে ব্লক করে দেয়, সে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পুলিশকে ছাত্রীটি জানিয়েছে যে সে যে কীটনাশক খেয়েছে তা তার বাবা গম ফসলের জন্য কিনেছিলেন।
ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে করা আত্মহত্যা-সম্পর্কিত পোস্টের সতর্কতা গ্রহণের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ২০২২ সাল থেকে মেটার সাথে একটি ব্যবস্থা চালু করেছে। এই সতর্কতার মাধ্যমে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ ১৩১৫ জনের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
দেখুন আরও খবর
