নয়াদিল্লি: আজ লোকসভায় (LokSabha) পেশ নয়া আয়কর বিল (New income tax bill) । চলতি আয়কর আইনের (Income Tax Act) অনেক পরিভাষা বদলাতে চলেছে কেন্দ্র। চালু আইনের তুলনায় ২০০ পৃষ্ঠা কম কলেবরের বিলে ৯৩১টি ধারা উপধারা রয়েছে পাল্টাচ্ছে না কর্পোরেট কর (Corporate tax) ও আয়করের ছাড় (Income Tax Exemption)।
তবে সমাজ মাধ্যমে কনটেন্ট আপলোডের মাধ্যমে আয় আয়করের আওতায় আসছে। নানা ভাবে কর ফাঁকি আটকাতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। নতুন আয়কর বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে, যাঁর অর্থ এটি সংসদে পেশ করা হবে।
দ্বিতীয়ত, সংসদে উপস্থাপনের পর অর্থ সংক্রান্ত একটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। সরকারি সূত্রে খবর, ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে নতুন আয়কর আইন কার্যকর হতে পারে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী অলস জীবন কাটিয়ে স্বামীর কাছে খোরপোশ আদায় তারিফ যোগ্য নয়: ওড়িশা আদালত
নতুন বিলে বেশ কিছু ‘সেকশন’-এর নম্বরে পরিবর্তন আসতে চলেছে। যেমন, বর্তমান আয়কর আইন অনুযায়ী ‘আয়কর ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলিং’ সেকশন ১৩৯-এর অন্তর্গত। নয়া কর কাঠামো ১১৫বিএসি সেকশনের মধ্যে পড়ে।
বদল আসতে পারে এই সেকশন নম্বরগুলিতে। নয়া আয়কর বিলে ‘রেসিডেন্সি ল’-তে পরিবর্তন আসছে না। আগের মতোই থাকবে ‘রেসিডেন্সি ল’। টিডিএস সংক্রান্ত যাবতীয় সেকশনগুলিকে একজোট করে একটিমাত্র ক্লজের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ‘আইটিআর ফাইলিং ডেডলাইন’, ‘ইনকাম ট্যাক্স স্ল্যাবস’ এবং ‘ক্যাপিটাল গেইনসে’র মধ্যে কোনও পরিবর্তন হবে না।
নতুন আয়কর বিলে আনা হচ্ছে ‘আয়কর বছরে’র পদ্ধতি। এর ফলে ‘অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার’ এবং ‘প্রিভিয়াস ইয়ারে’র সমস্যা থেকে মুক্তি হবেন গ্রাহকরা। অর্থবর্ষে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। অর্থবর্ষ শুরু হয় ১ এপ্রিল এবং শেষ হয় ৩১ মার্চ।
এই করের বিষয়টি পর্যালোচনা করে তদারকি করার জন্য সিবিডিটি একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছিল। এছাড়াও, প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করার জন্য ২২টি বিশেষ উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিলটি তৈরির আগে, সরকার মোট চারটি বিভাগের আওতায় জনগণের কাছ থেকে মতামত মতামত নিয়েছিল। সেগুলি হল ভাষা সরলীকরণ, মামলা মোকদ্দমা হ্রাস, সম্মতি হ্রাস এবং অপ্রয়োজনীয় বিধান।
বাজেট অধিবেশনের সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, এই নতুন আয়কর বিলটি করদাতা এবং কর প্রশাসনের জন্য বোঝা সহজ হবে, এর ফলে কর দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমা কম হবে।
দেখুন অন্য খবর: